বন্দরে ডেভিল হান্টের ঊর্ধ্বে ওসমানপরিবারের দোসর মাকসুদ ও চাঁন মিয়া

42

ইভা বেগম,বন্দর:

বন্দরে ডেভিল হান্টের ঊর্ধ্বে ওসমান
পরিবারের দোসর বন্দরের ত্রাস মাকসুদ চেয়ারম্যান ও কথিত রাজনীতিবিদ চাঁন মিয়া।


নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ওসমান পরিবারকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের সাথে অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও ভুমিদস্যু চান মিয়া। মাকসুদ হোসেন মুছাপুরে একক নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন রকমেরর সুযোগ সুবিধাভোগী হয়েছেন। বিভিন্ন রকমের বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়েছেন। ধরাকে সরাজ্ঞান করে নানা রকমের অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষজনকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছেন।
৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও তাঁরা এখনও এলাকায় প্রকাশ্যে তাদের কর্মকা- করে যাচ্ছে। এছাড়াও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনও ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম আত্মগোপনে থাকলেও ওসমান পরিবারের দোসর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ আবার এমপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যেই সভা সমাবেশ করে বেড়াচ্ছেন। অথচ এই মাকসুদ হোসেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়িয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবারও মাকসুদ হোসেন ও চাঁন মিয়া বিএনপি নেতাদের আশ্রয়ে ফেরার চেষ্টা করছেন। মহানগরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যেই চলাফেরা করে বেড়াচ্ছেন। ডেভিল হান্ট অভিযানেও যেন কারও কিছু বলার নেই। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার থাকাবস্থায় তার দ্বারা কত মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা যেন বলার অপেক্ষা রাখে না।
অপর দিকে ডেভিল হান্টে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট হিসেবে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান গ্রেফতার হলেও প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে মাকসুদ হোসেন ও চাঁন মিয়া। মাকসুদ হোসেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমানের পরিবারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে তিনবার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।