মোঃ মিঠু আহম্মেদ নারায়ণগঞ্জ:-
দেশজুড়ে ছিনতাই ও রাতের আঁধারে পথচারীরা ছিনতাইয়ের কবল থেকে রক্ষার জন্য বিশেষ একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র স্টান্ড গ্যান বা সেফটি ইলেকট্রিক শকর্ট দেওয়ার মেশিন। যা এখন রীতিমত স্যোসাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক জুড়ে বিঙাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে ।
বর্তমান সময়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দেশজুড়ে বেড়েই চলছে খুন,ধর্ষণ, ছিনতাই,চুরি,ডাকাতির মতো অপরাধ কর্মকান্ড ।এ সকল কর্মকান্ডের শিকার হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের জনগণ কিন্তূ এসকল কর্মকান্ডে বেশির ভাগ সময়ই নারীদের টার্গেট করা হচ্ছে যা স্পষ্ট এখন সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত অপকর্ম গুলোতে । এমন অপরাধীদের কবল থেকে রক্ষার জন্য অনেকেই নিজেদের সঙ্গে বহন করছে সেফটি ডিভাইস । ডিভাইস থাকা সত্বেও কোন কিছুই করার সুযোগ হয় নি কারন ছিনতাই কারিদের নিকট ও ছিলো সেই সকল সেফটি ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলো যা তারা এখন ছিনতাইয়ের কাছে নিজেদের আত্মরক্ষার সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। সুশীল সমাজের জনগণ দেশ জুড়ে ছিনতাইয়ের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন অনলাইন মাধ্যম গুলো সহজলভ্য হওয়ার কারণেই যে কেউ এ সকল সুরক্ষা ডিভাইস ব্যবহার করছেন ।আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখন অতি দ্রুত প্রয়োজন যে সকল অনলাইন সাইড থেকে এই ধরনের ডিভাইস গুলো বিক্রি করা হচ্ছে তাদের কে সতর্ক করার যাতে তারা যে সকল পন্য অনলাইনে বিক্রির উদ্দেশ্যে বিঙাপন প্রচার করেন এবং তাদের এই চমকপ্রদ বিঙাপন দেখে যে সকল গ্রাহক সেই সকল সুরক্ষা যন্ত্র অর্ডার করবে তখন যাতে গ্রাহকদের ছবি এনআইডি ও কোন পেশায় নিয়োজিত তা সংগ্রহ করে অতঃপর বিক্রি করে থাকে অন্যথায় এই সকল অনলাইন সাইড থেকে সুরক্ষার যন্ত্র নাগরিক জীবনের সুরক্ষার চাইতে ভোগান্তি ডেকে আনবে । এই প্রসঙ্গে প্রতিবেদক কে একজন নারী শিক্ষার্থী জানায় সোস্যাল মিডিয়ার সহজলভ্য ব্যবহার এর করনে রীতিমত এসকল সুরক্ষা ডিভাইস গুলো এখন ছিনতাই কারিরা তাদের আত্মরক্ষার সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করছেন যা স্পষ্ট এখন দেখা যাচ্ছে এই ধরনের হেভি ডিভাইস গুলো ভুক্তভোগীদের চাইতে ছিনতাই কারিদের নিকট তুলনামূলক বেশি বিক্রি করে সোস্যাল মিডিয়ার সাইড গুলো তাই এর সুফল ভোগ করার চাইতে দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে ।
বর্তমান প্রজন্ম অনলাইন দুনিয়ায় খুজে বেরায় নিজের প্রয়োজনের সব কিছু আর এই প্রজন্মের এমন চাহিদাকে টার্গেট করেই অনলাইনে চমকপ্রদ বিঙাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় যা এখন সুবিধার চাইতে অসুবিধা হয়ে পরেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন নারায়ণগঞ্জের প্রবীণ এক সংবাদিক ও লেখক তার মতে দেশে জুলাই আন্দোলনের পর প্রসাশনিক দপ্তর গুলো এক প্রকার ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতই হয়ে পরেছে ।দেশের প্রত্যেকটি থানায় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিত থাকা সত্বেও দেশে এখন কোন ধরনের আইনের শাসন নেই বললেই চলে ।আর এই সুযোগে দুস্কৃতিকারীদের অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বেড়েই চলছে রাত হলে এখন মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পান ।নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো ভয়াবহ হয়ে পড়েছে ।
এখন স্কুল,কলেজের ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন পেশায় চাকুরী করা নারী নিজের জীবন রক্ষার জন্য যে সকল ডিভাইস ব্যবহার করবে তা অনলাইন প্লাটফর্মে সহজলভ্য উপায় হওয়ার ফলে সে সকল অনলাইন সাইড থেকে খুব সহজে ক্রয় করে নিতে পারছে দেশের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি , দুস্কৃতিকারী ও ছিনতাই কারিরা । দেশের এমন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে এখনই উচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের বিশেষ করে আইটি বিভাগে কর্মরত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন যারা তাদের যথাযথ আইনানুগ কার্যক্রমের মাধ্যমে যে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এই ধরনের ডিভাইস ক্রয় করবে সে সকল সাইড কতৃপক্ষ বিক্রয়ের সময় গ্রাহকদের থেকে সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে যথাযথ উপায়ে তাদের পন্য সবারহ করেন এবং সেই সকল পন্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান যেনো সকল বিক্রয় কৃত পন্যের যাবতীয় বিক্রির ডকুমেন্ট যথাযথ সরকারি বিভাগে জমা দেন । এমনটা হলে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকান্ডে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই সকল সুরক্ষা যন্ত্র ক্রয় করার সাহস দেখাবেনা
অপরাধীরা । এতে কিছুটা হলেও কমবে অপরাধীদের কাছে এই সমস্ত সুরক্ষার যন্ত্র ও সুরক্ষিত থাকবে নাগরিক জীবন ।
সুরক্ষা যন্ত ক্রয় বিক্রয়ে সরকারের যথাযথ দপ্তরে তাদের প্রত্যেকের সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে অতঃপর বিক্রয়ের বিধান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের সাধারণ জনগণ ।