নার্গিস চৌধুরী’র স্ব-রচিত কবিত “জীবন টায় অভিনয়”

301

জীবন টায় অভিনয়
——নার্গিস চৌধুরী

ফেসবুক কে বলছি-আমি দেখতেও অসুন্দর
মনটাও অসুন্দর ,
আমার সুন্দর কাজ হলো — ভার্চুয়াল জগতের কাজ কর্ম গুলো শুধু সুন্দর করা।

আমি আমার মতো বাঁচতে চাই ,
দরকার ছাড়া অঝতা মেসেজে মেতে থাকতে
কেউই চায় না।
কারণ বুদ্ধি মানের কাজ হলো -সময় নষ্ট না করে কাজে মেতে থাকা।

ভার্চুয়াল জগত ভার্চুয়াল ভাবেই চলুক,
এখানে তো আমরা কেউ কাউকে – না চিনি, না কারোর সঙ্গে গভীর ভাব রাখি, নাই কোন নিয়ম বাঁধা ধরা।

তবে একজন আরেকজনকে সহযোগিতা চলে রমরমা।

এখানে বিনোদনের অনেক পথ,
এখানে অনেক বেশি অবচেতনের আত্মার টান।

না দেখি টিভি,না দেখি গল্প সিনেমা।

ফেইসবুকে সময় কাটাতে হবে,
আমার প্রতিভা দেখাতে হবে,
এফ – বি বন্ধুদের প্রতিভা গুলো দেখতে হবে,
এই তাড়া থাকে সবসময়।

ফেইসবুক,টিকটিক, ইউটিউব , ইনস্টাগ্রাম হলো ভার্চুয়াল জগৎ।
ইহাতে যাহায় উপস্থাপন করি,
তা সবি এডিট করা হয়।

মনটাও কি তাহলে আমাদের এডিট করা? হ্যাঁ আসলেই এডিট করা। যাকে বলে “মেনুপুলেশন”।

(এই মেনুপুলেশ নিয়ে অন্য দিন আলোচনা করবো)

যে কথা বলছিলাম তাহায় বলি—

যেখানে মনের গোপন কথা, সদিচ্ছা য় – জগতের
কোন বন্ধু কে বলতে না পারায়,
সত্যি কারের ভীতরের প্রতিভা গুলো,

নির্দ্বিধায় সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলে নীজের মতো রঙে রাঙিয়ে এফ-বি বন্ধুদের শেয়ার করলেই শুরু হয়, ভালো বাসা এবং সমালোচনার মেলা,

নীজের অবচেতন মনে যা সৃষ্টি হয় এবং তৈরি হয়ে যায় অবলীলায়,
যার নাম আমি দিতে পারি “ভার্চুয়াল লিলা”।

নীজে কিছু বানিয়ে কন্টেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে,
করে কিছু নয় ছয়,

এডিট করি, পোস্ট করি এটা সত্যি কারের জীবনের সাথে কোন মিল নাই। যাকে বলে ভার্চুয়াল জগত
“যাষ্ট অভিনয়”।

প্রতিটি মানুষ,জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে,
একেক বার একেকটি কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম নীজের অজান্তেই সময় অসময়।

প্রতিটি কাজকেই যদি সংগ্রহ করতে পারি
হাতে রাখা মোবাইলে,
আর যদি তা কাটছাঁট করে
লাগিয়ে দেয় কিছু রং ঢং -বাস

কি আছে জীবনে সেটাই হয়ে যায়
জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো যাষ্ট অভিনয়”।

পদে পদে বাঁধা পেরিয়ে শিখর থেকে শেখরের উঠতে
কিছু নিয়ম নীতি মেনে যা হয়,
মানুষের জীবনে যা রচিত হয়
রং ঢং মিলিয়ে ঘটে যত ঘটনা,
যা রচে প্রতিটি মানুষের জীবনে
যেটাই হয় আসলেই সেটাই,
বলতেই হয় “জীবন টায় অভিনয়”।।