পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে- রিয়াদ

72

রোম্পা রাফিয়াঃ নারায়ণগঞ্জ থেকে শামীম ওসমান পালিয়ে গেলেও তার দোসরদের একটি চক্র রয়ে গেছে অপ-প্রচার এ চক্রটি বিভিন্নভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘায়েল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা, কাল্পনিক অভিযোগ সামনে এনে বিশৃংঙ্খলা তৈরী করছে। ফ্যাসিবাদের এই দোসরদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে এখনই নেতাকর্মীর স্বোচ্চার হতে হবে।

রোববার ২৭ এপ্রিল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। রিয়াদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মানববন্ধন ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত অভিযোগে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলে, সমগ্র দেশব্যাপী আওয়ামী দোসরদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপির সর্বোচ্চ নিতি নির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ পর্যন্ত উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের স্বীকার হচ্ছে। তদ্রুপ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতেও আওয়ামী দোষরদের একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমিসহ আমার দলীয় নেত্রীবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা এই ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে আমরা দলীয়ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে এই ধরণের কু-চক্রী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। ২৬ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রইসউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনে আমাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ভূমিদস্যু, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যাহার নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমানাদি উল্লেখ নেই। কথিত রইস উদ্দিনকে দিয়ে আওয়ামীলীগের দোসরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।

১১ই সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার পর থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসী আক্তার, সুমনদের সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে এবং ক্ষতিকরার চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৭ই ফেব্রুয়ারী ভোর ৫ টার দিকে ফতুল্লার পূর্ব লালপুর রেললাইন এলাকায় ফতুল্লা থানার স্বেচ্ছা সেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেনকে আক্তার, সুমনের সন্ত্রাসীরা বাড়ী থেকে ডেকে এনে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের একদিন পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী ও হোসেন টেক্সটাইলের দখলদার আক্তার ও সুমন সহ এগারজনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ সেই মামলার ভিত্তিতে আক্তার, সুমনের বাড়ীর কেয়ারটেকার সহ ৭/৮ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। সেই হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে উদ্ভট, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী আক্তার, সুমন ও তাহাদের পরিবার বিগতদিনে ৮/১০টি হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। এরমধ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন মেম্বার, ডাইং ব্যবসায়ী সোলেমান এবং নজরুল হত্যাকান্ড অন্যতম। এছাড়া যে মানববন্ধন করেছে, সে ফতুল্লার কেউ না এবং মানববন্ধনে মুষ্টিমেয় লোকের সকলেই বহিরাগত এবং তাহারা কেউ এখানকার ব্যবসায়ী নয়। মানববন্ধনকারীরা সঠিকভাবে আমার নামটিও জানে না। যাহার কারণে তারা সঠিকভাবে আমার নামটিও উচ্চারণ করতে পারেনি। মূলত আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এক পক্ষ ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে একটি মানববন্ধন আয়োজন করে।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, সহ সভাপতি হানিফ কবির, সুমন আকবর, যুগ্ম সম্পাদক আনিস রহমান,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী,সহ-প্রচার সম্পাদক কামাল আহম্মেদ, মিলন টালি, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আ: খালেক টিপু, সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান, শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী,সদস্য সচিব আল আমিন, তাতীদলের সভাপতি ইউনুস মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ইমন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আল আমিন, রূপম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আল আমিন ।