আহমেদ আলিঃ আমাদের দেশে দেখা যায় গরীব মানুষের জন্য লায়নস চক্ষু হাসপাতাল, নাঃ গঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল,রোটারী ক্লাব সহ আরও অনেক হাসপাতাল ও সামাজিক ক্লাবের উদ্যেগে চক্ষু,হার্ট,ডায়াবেটিস ইত্যাদি ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হয়। এটা খুবই ভাল কাজ। সমস্যা হল এ ধরনের রোগীরা যখন দ্বিতীয়বার ডাক্তারদের কাছে যায় তখন দেখা যায় সে সম¯— ডাক্টারগন তারা ওই হাসপাতালে বা ক্লাবে বসেন না। বিধায় ওই গরীব অসহায় রোগীরা ডাক্টারদের চেম্বারে স্বরনাপন্ন হয়। তখন ডাক্টার বলেন এটাতো আমার ব্যক্তিগত চেম্বার। এটা কোন ফ্রি চিকিৎসার হাসপাতাল বা ক্লাবের অন্তর্ভুক্ত না। তাই ফি দিয়ে রোগী দেখাতে হবে। যার পক্ষে সম্ভব হয় সে টাকা দিয়ে চিকিৎসা নেন। আর যার কাছে টাকা নেই হত দরিদ্র গরীব রোগী নিরুপায় হয়ে রোগ নিয়েই বাড়ি ফিরে যায়। একজন অসহায় গরীব লোকের পক্ষে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না। ডাক্টারগন ফ্রি চিকিৎসা করতে এসে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্ড বিতরন করে থাকেন। তাহলে বলা যায় ফ্রি চিকিৎসার নাম করে ডাক্টাররা তাদের ব্যবসার মার্কেটিং এর কাজটি বেশী করে থাকেন। তাই ওই হাসপাতাল ও সেবামূলক ক্লাবের প্রতি অনুরোধ ঐ সমস্ত ডাক্টারগনদের অন্তত সপ্তাহে ১ দিন আপনাদের প্রতিষ্ঠানে বসান এবং গরীব রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দিন। তাহলে গরীব রোগীরা প্রকৃত পক্ষেই উপকৃত হবে।