ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে ছুরি, চাপাতি, কিরিজ সহ ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

580

সময়ের চিবতা ডট কমঃ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাই এর প্রস্তুতিকালে ছুরি, চাপাতি, কিরিজ সহ ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।ঈদ, পুজা-পার্বণকে ঘিরে অপরাধীচক্রের অপরাধ কর্ম তীব্র থেকে তীব্রতর পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। আইন শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ছিনতাই, দস্যু, ডাকাত ও মলম পার্টির উৎপাত থেমে থাকে না। পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের ঈদ যাত্রা নির্বিঘœ রাখা, বিভিন্ন গার্মেন্টস্, শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলিত টাকা নিরাপদে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানো নিশ্চিত করা সহ সর্ব সাধারণের কেনাকাটা নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে র‌্যাব তথা আইন শৃক্সখলা বাহিনীর জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১০ তার আওতাধীন এলাকায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষে চট্রগ্রাম, মাওয়া ও দক্ষিণাঞ্চল অভিমুখি সকল যানবাহনের যাত্রী সাধারণ সহ বিভিন্ন ব্যাংক, ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের বড় ধরণের অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরদারী করার জন্য মাইক্রোবাস যোগে ও জোরদারকরণের অংশ হিসেবে দৃশ্যমান র‌্যাব পিকআপ যোগে পেট্রোল করে আসছে। অদ্য ০৪ জুন, ২০১৮ খৃঃ যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর অভিমুখে র‌্যাব-১০ এর আওতাধীন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নজরদারী করার লক্ষ্যে মাইক্রোবাস যোগে পেট্রোল করাকালে বেলা অনুমান ১৪.৩০ ঘটিকায় ডিএমপি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইলস্থ সাদ্দাম মার্কেট ও ট্রাষ্ট ব্যাংক এর উত্তর পাশের্^ রাস্তার বিপরীতে চট্রগ্রাম অভিমুখি পাকা রাস্তার উপর পৌঁছলে একটি খালি পিকআপ র‌্যাব-১০ এর সদস্যবাহী সাদা রঙ এর মাইক্রোবাস এর গতিরোধ করে। র‌্যাব এর মাইক্রো ড্রাইভার দক্ষতার সাথে গাড়ীটি নিজ নিয়ন্ত্রণে রেখে দাঁড়ালে পিকআপ থেকে ৬/৭ জন যুবক ছোরা, চাপাতি, কিরিচ হাতে করে আচমকা র‌্যাব এর মাইক্রোবাসের দু’পাশ থেকে ঘেরাও করে। র‌্যাব সদস্যরা নিজেদের আত্মরক্ষার সকল প্রস্তুতি নিয়ে মাইক্রোবাস থেকে নেমে ছিনতাইকারী দলের সদস্যদের ধৃত করার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তি কালে উৎসুক জনতা প্রাথমিকভাবে ভীত সন্ত্রস্ত হলেও পরবর্তীতে র‌্যাব সদস্যদের দেখতে পেয়ে সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসলে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল হতে ১। মোঃ রুবেল শেখ (৩৩), পিতাঃ মৃত সুলতান শেখ, সাং-পল্লীপাড়া, থানাঃ ভাঙ্গা, জেলাঃ ফরিদপুর; ২। মোঃ পারভেজ (৩২), পিতাঃ সামসুদ্দিন, সাং-সুহেরী খালপাড়া, থানাঃ কোতআলী, জেলাঃ দিনাজপুর, ৩। মোঃ আজাদ হোসেন (২৬), পিতাঃ মৃত নাজিম উদ্দিন, সাং-ডোলসা, থানাঃ পাবনা সদর, জেলাঃ পাবনা ও ৪। মোঃ অজয় (২৪), পিতাঃ মোঃ কামরুদ্দিন, সাং-২ নং ওয়াপদা বিল্ডিং, ব্লক-এ, মিরপুর-১০, ঢাকা গণকে ধৃত করে। অপর ৩/৪ জন আসামী পালিয়ে যায়।

ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের নিকট তথ্য ছিল কোন একটি গার্মেন্টস্ এর শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য মতিঝিলের আরব বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ৫০/৬০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নারায়নগঞ্জ ঝালকুড়ির দিকে একটি মাইক্রোবাস যাবে। গাড়ী রঙ ও বর্ণনা মিলে যাওয়ায় তারা ভুলক্রমে র‌্যাব এর মাইক্রোবাসের গতিরোধ করলে র‌্যাব ও জনগণের হাতে ধৃত হয়। আসামীদের নিকট হতে জানা যায়, তারা পেশাদার ছিনতাই চক্রের সদস্য। বিভিন্ন সময়ে বড় ধরণের টাকা উত্তোলনের তথ্য তাদের নিকট আসলে তারা তাদের পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় সময় ভেদে পিকআপ, প্রাইভেট কার, মাইক্রো বা মোটর সাইকেলযোগে টার্গেট গাড়ীর গতিরোধ করে ছিনতাই কার্য করে থাকে। আসামীরা জানায়, তাদের পলাতক সহযোগীদের নিকট স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ডিএমপি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় অস্ত্র আইন ও দস্যুতার উদ্যোগ গ্রহণের অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

আসন্ন ঈদ উল ফিতরে জনগণের ঈদ যাত্রা, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের টাকা নির্বিঘেœ গন্তব্যে পৌঁছাতে সকল প্রকার সহযোগীতা সহ জনসাধারণের নিরাপত্তা প্রদানে র‌্যাব এর নিরাপত্তা নজরদারী ও দৃশ্যমান টহল অব্যাহত থাকবে।