ডাঃ দিলরুবা আখতারের কালো থাবায় শিশু -মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

3137

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মাতুয়াইল শিশু- মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে সুনামের সাথে চিকিৎসা সেবার পাশা পাশি বিপুল সংখক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রদান অব্যহত আছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের ডাঃ দিলরুবা চক্র নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে বিভিন্ন অপ্রচার করে স্বাস্থ্য সেবায় এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সরকারের অর্জন কে ম্লান করতে বসেছে। অভিযোগ রয়েছে ডাঃ দিলরুবা আখতার গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হওয়ার সুবাদে এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের বিভিন্ন ভাবে আশে-পাশের ক্লিনিকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে সিজারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অনুসারী কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিভাগীয় প্রধানের পদ দখল করে আছেন অধ্যাপক(দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডাঃ দিলরুবা আখতার। ২০০৬ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় বিএনপি নেতাদের দিয়ে তৎকালিন পরিচালক কে চাপ প্রয়োগ করে সহকারী অধ্যাপক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিসাবে পদোন্নতি নেন তিনি। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসারপর তার সকল অবৈধ কার্যক্রম জায়েজ করতে রাতারাতি তিনি আওয়ামীলীগার হয়ে যান এবং বিভিন্ন অবৈধ তদবিরের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক (গাইনী) হিসাবে স্থায়ীভাবে পদোন্নতি নেন। সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবার পর তার দৌরাত্ব আরো বেড়ে যায়। তিনি আবার বিভিন্ন অবৈধ পন্থা গ্রহন কোন করে একাডেমিক ও প্রয়োজনীয় পাবলিকেশসনস ছাড়াই নির্বাহী পরিচালক, অধ্যাপক ডা: হোসনে আরা কে চাপ প্রয়োগ করে অধ্যাপক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিসাবে পদোন্নতি নেন। এতেই তিনি ক্ষান্ত হয়নি তার চক্রকে আরো শক্তিশালী করতে তিনি আবারো বিভিন্ন দপ্তর কে ম্যানেজ করে সিনিয়র ডাক্তারদের টপকে হয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

এরপর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন তার সকল কাজ জায়েজ করতে বোর্ড অব গর্ভনরসের সদস্য হবার জন্য এবার সেই মিশনে নামেন তিনি। এ মিশনেও তিনি প্রতিষ্ঠানের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেখানে জৈষ্ঠতম মেডিক্যাল অফিসারের পরিবর্তে ৫ম হয়েও তিনি বোর্ড অব গভনরসের সদস্য হয়ে যান। কিন্তু বর্তমান নির্বাহী পরিচালক পদে অধ্যাপক ডাঃ এম এ মান্নান যোগদান কারার পরই ডাঃ দিলরুবা আখতার চক্রের বিভিন্ন অবৈধ কাজের বাধা হয়ে যায়। এ বিষয়ে অধ্যাপক ডাঃ এম এ মান্নান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সরকার আমাকে এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছেন । আমার কাজ সরকারী সকল সুবিধা যাতে রোগীরা পায় কোন ভাবে যেন রোগীরা হয়রানীর শিকার না হয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এতে করে যদি কোন ব্যক্তি বিশেষের কোন অবৈধ স্বার্থে ক্ষতি হয় তাহাতে আমার কোন কিছু করার নাই,আমি অত্র প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসাবে এই হাসপালে আগত সকল রোগীই আমার পরিবারের সদস্য। রোগীদের সেবা আমার কাছে আগে।

বর্তমান সরকার জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌচ্ছে দেবার যে পরিকল্পনা গ্রহন করেছে আমি তার একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে অত্র প্রতিষ্ঠান আগত সকল রোগীকে সেই সেবা প্রদানের সকল ব্যবস্থা অব্যহত রেখেছি। তাই কোন একটি বিশেষ মহল আমার ও প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে নাখোশ হয়ে বিভিন্নভাবে অপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান সরকারী নিয়মনীতি অনুযায়ী রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা পাবে আমি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল পদে থেকে কোন বিশেষ মহল এর ভয়ে তার ব্যতয় ঘটতে দিতে পারিনা।

অনুসন্ধানে জানা যায় ডাঃ দিলরুবা আখতার এর নিয়ন্ত্রিত চক্রটি হাসাপাতালে গেট থেকে শুরু করে গাইনী বিভাগে রোগী আসা এর পর ডাঃ দিলরুবা আখতার বিভাগীয় প্রধান হওয়ার সুবাধে গাইনী বিভাগের সকল স্থানে অবাধ যাতয়াত করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এ চক্রের বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিষ্ঠানের একাধিক ডাক্তার, নার্স, আয়াসহ অভিযোগ করে জানান যে ডাঃ দিলরুবা আখতার একজন মতলববাজ যে যখন দল সরকার গঠন করে সে তখন সেই দলের হয়ে যান এ কারনে তার সকল অপকর্ম এর কখন কোন বিচার হয়না আমরা কখন কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। এছাড়াও ডাঃ দিলরুবা আখতারের বিরুদ্ধে গাইনী বিভাগের বিভিন্ন চিকিৎসকদের নানা অপকৌশলে বিভিন্ন সময়ে জোর পুর্বক স্বাক্ষর গ্রহন,এবং সাদা কাগজে পর্যন্ত স্বাক্ষর গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্বাহী পরিচালক বরাবর বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গ্রঠন করা হয়েছে । সরকারের স্বাস্থ্য সেবায় এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী বলে মনে করছেন এলাকার সাধারন মানুষ । এ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তারা হয়তো এমন পরিবেশ সৃষ্টি করবে যাতে করে এ প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারন জনগন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।