আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পকেটমার ও চুরির ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি

527

বন্দর পতিনিধিঃ আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বন্দরে পকেটমার ও চুরির ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কথা জানিয়েছে সচেতন মহল। তারা আরো জানিয়েছে, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বন্দরে পকেটমার ও চোরের উৎপাত ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বন্দর ১নং খেয়াঘাট, বন্দর আমিন আবাসিক এলাকা, বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকা, বন্দর বাবুপাড়া, রেলী আবাসিক এলাকা, শাহিমসজিদ এলাকা, বাড়িপারা এলাকাসহ বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় এ চুরি ও পকেটমারের ঘটনা ঘটছে। বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারা যায় গত এক সপ্তাহে পকেটমারের খপ্পরে পরে ১২ জন ব্যক্তি মোবাইল ও মানিব্যাগ খুইয়েছেন এবং তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পকেটমারের খপ্পরে পরে মোবাইল মানিব্যাগ হারানো ব্যক্তিরা হলেন, বন্দর সলপেরচক এলাকার হাসেম মিয়া, প্রান কম্পানির সে¯øম্যান সুমন, ব্যবসায়ী রহিম মিয়া, সোনারগাঁও বারদী এলাকার শাহীন, আমিন আবাসিক এলাকার শান্ত, পলাশ, রহিম, সোনাকান্দা এলাকার ফজল মিয়া, একরামপুর এলাকার মিলন, বন্দর জামাইপাড়া এলাকার কাশেম মোল্লা, বন্দর রেললাইন এলাকার হাছান ও রুপালী আবাসিক এলাকার সীমান্ত। চুরি হওয়া বাড়ি গুলো বন্দর শাহী মসজিদ’স্থ পুকুরপাড় সংলগ্ন ২/২ সালেহ রোড এলাকার শেখ মোঃ হানিফ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী রাইসুল ইসলাম, বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার ৩নং গলির চয়ন, রুপালী আবাসিক এলাকা হোসেন মিয়ার বাড়িতে। বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন একাধিক দোকানদার আমাদের বলেন, প্রায় সময় দেখি মানিব্যাগ নাহলে মোবাইল হারিয়ে এদিক সেদিক খোজা খুজি করে আমাদের কাছে দু:খ প্রকাশ করে। এব্যপারে বন্দর থানার ওসি এ কে এম শাহীন মন্ডল আমাদের বলেন, চুরি ও পকেটমারের ঘটনায় একাধিক থানায় জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। বন্দর থানা এলাকার সকল মানুষের জানমাল নিরাপদ রাখার জন্য পুলিশ টহল  জোরালো করা হয়েছে। এবং অপরাধিদের যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে।

এ ব্যাপারে বন্দর ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এমদাদ জানান, বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে বন্দর ফাঁড়ী থেকে প্রতিদিন একজন অফিসার ও দুই জন ফোর্স সিভিল পোশাকে ডিউটি করছে। পুলিশ প্রশাসন তার দায়িত্বে বিন্দু মাত্র কার্পন্য করছে না।