বন্দর প্রতিনিধিঃজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী গঠন করেছিলেন শিক্ষা শান্তি প্রগতির ধারক ও বাহক ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫২’র ভাষা আন্দোলন,৬৬’র ৬দফা আন্দোলন,৬৯’র গণঅভ্যুত্থাণ,৭০’র নির্বাচন ৭১’রের মহান মুক্তিযুদ্ধে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে স্বাধীন করে দেশ মাতৃকাকে ৩০লাখ শহীদ আর ৩লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। এই অর্জণকে ম্লান করে দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার আর্ন্তগত বন্দর উপজেলার কতিপয় নেতৃবৃন্দ। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ গঠন করা হয়েছে ১যুগেরও বেশি সময় ধরে। দলীয় কর্মসূচীতে তাদের দেখা যায়না। দলের প্রয়োজনে আন্দোলন সংগ্রাম,মিটিং-মিছিলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়না। এমনকি আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস,বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন,পনেরই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে তাদের কোন কর্মসূচী থাকেনা। তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত। অর্থ উপার্জণের নেশায় তারা বিভোর। অনেক ছাত্রলীগের নেতাকে দেখা যায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত কররাতো দূরের কথা তারা অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জণে মরিয়া হয়ে ওঠে। পক্ষান্তরে ধন্যবাদ জানাতে হয় কর্মী গড়ার কারিগর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে। যিনি মেধাবী ছাত্রদের দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ গঠনন করেছেন। ছাত্রলীগের অভিভাবক অয়ন ওসমানের দিক নির্দেশণায় সানি-সুজন আজিজ-রাফেল,রিয়াদ-বিন্দু’র মতো ছাত্র নেতাদের দক্ষতা ও পরিশ্রমের ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড খ্যাত ছাত্রলীগ সারা বাংলাদেশে একটি মডেল হিসেবে দাড়িয়েছে। আমাদের মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেমন উন্নতশীল দেশে রূপান্তরিত করার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে বিশে^র মানচিত্রে মেলে ধরেছেন সেখানে তারই উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছে বন্দর উপজেলার কিছু নেতৃবৃন্দের অপকর্মের মাধ্যমে। আমাাদের বাতিঘর মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী সংগঠনকে আরো গতিশীল করার জন্য দিক নির্দেশনা দেন জেলা মহানগর,থানা ওয়াড,ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে। তাদের আচার আচরণ কথা-বার্তা ব্যবহারে মানুষ ভালবেসে আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে। উন্নয়নের ধারা মানুষের মাঝে প্রচার করবে তো দূরের কথা তাদের র্দূব্যবহারের কারণে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মীরা লাঞ্চিত,নির্যাতিত অপমাণিত হচ্ছে। নেতারা কোন প্রতিবাদ করছেনা। এমনকি কোন খোঁজ-খবরও নিচ্ছেনা। তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করছে। এমপি আসে এমপি যায় দল তার নিজস্ব গতিতে চলে। ওয়ার্ড-ইউনিয়ন,থানা-উপজেলা কমিটিগুলো যদি সুসংগঠিত থাকে তাহলে কর্মীরা প্রাণ ফিরে পায়। আর দল কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। জয় হয় সুনিশ্চিত। সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আওয়ামীলীগকে পূণরায় ক্ষমতায় আসতে হলে প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধাণমন্ত্রী বানাতে হলে এই অকার্যকর ও স্বার্থলোভীদের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগ,শিক্ষিত ভদ্র মেধাবী যুবকদের দিয়ে যুবলীগ এবং আদর্শ ও নীতিবান স্বচ্ছধারার রাজনীতিকদের দিয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগকে পূর্ণগঠিত করতে হবে। অন্যথায় এজনন্য চরম মূল্য দিতে হবে। বাংলাদেশ আজ দুভাগে বিভক্ত। একদিকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি অন্যদিকে কাজ করছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। কতিপয় নেতারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েও নিচ্ছে। আওয়ামীলীগের তৃনমূলের কর্মীরা তাদের সামনে দাড়াতে পারছেনা কারণ তাদের শেল্টারদাতা রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মাথা উঁচু করে দাড়াচ্ছে বন্দর উপজেলায়। এখনই তাদের থামাতে না পারলে সামনে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করবে। এরাই হবে আগামী দিনের আওয়ামীলীগের জন্য স্পীডব্রেকার। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগকে সসুসংগঠিত করতে জননেতা একেএম শামীম ওসমান এমপি মহোদয়ের হস্তেক্ষেপ কামনা করছেন লেখক/কলমিষ্ট সাবেক সভাপতি, বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ