এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন ,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ১০ কেজি গাঁজাসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আব্দুল জলিল (৩৯) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে হাতিবান্ধা থানার পুলিশ। সময় এ,এস,আই সঞ্জয় কুমার ও কনস্টবল সত্যজিৎ রায় নামের দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুন) ভোরে উপজেলার উত্তর গোতামারীর গাওচুলকা শ্মশান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ঐ এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে বলে জানা যায়। আটক মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল দলবল নিয়ে মাদকের চালান পার করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুকের নেতৃত্বে উত্তর গোতামারী গ্রামের গাওচুলকা শ্মশান এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য এএসআই সঞ্জয় কুমার, ও কনস্টবল সত্যজিৎ রায় আহত হন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলকে পুলিশ হেফাজতে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ আবস্থায় চিকিৎসাধীন আব্দুল জলিলের বর্তমান আবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাঈম সাংবাদিকদের জানান আহত ব্যক্তি এখন অনেকটায় সুস্থ্য। তবে আশংকার কিছু নেই।