বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দরে মিরকুন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী (১৫)কে অপহরনের পর ৩ দিন আটক রেখে ধর্ষনের মামলায় কথিত ভাই ও ভাবীকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
সোমবার রাতে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং- ২৫(৭)১৮। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে সদর মডেল থানার নিতাইগঞ্জ এলাকার মৃত লেবু চন্দ্র দাসের ছেলে হরিকমল দাস (৩৭) ও তার স্ত্রী কথিত ভাবি টুম্পা রানী দাস (২৮)
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার বালুচর এলাকার লিয়াকত আলী মিয়ার মেয়ে (১৫) মিরকুন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে। স্কুল ছাত্রী স্কুলে যাতায়াতের পথে একই উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধরা এলাকার মোঃ আমিন মিয়ার ছেলে উজ্জল ওরফে সাকিব বিভিন্ন সময়ে তাকে পথ রোধ করে উত্যক্ত করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় ,গত ৪ জুলাই দুপুরে স্কুল ছাত্রী বাড়ীর অদূরে জনৈক মনির হোসেনের মুদি দোকানের সামনে গেলে ওই সময় উৎপেতে থাকা অপহরণকারী লম্পট উজ্জলসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন জোর পূর্বক সিএনজি যোগে অপহরণ করে পালিয়ে যায়।
পরে অপহরনকারী উজ্জলসহ তার সহযোগীরা স্কুল ছাত্রীকে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় কথিত ভাবির বাড়ীতে আটক রাখে। সেখানে স্কুল ছাত্রীকে ৩ দিন আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী ৭ জুন সন্ধ্যা ৭টায় কৌশলে নিতাইগঞ্জ কথিত ভাবির বাড়ী থেকে পালিয়ে এসে বন্দর কুশিয়ারা গিয়াস উদ্দিনের বাড়ীতে এসে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় দাতা গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি স্কুল ছাত্রী পিতা মাতাকে অবহিত করে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতে নিতাইগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কথিত ভাই ও ভাবিকে গ্রেপ্তার করলে লম্পট উজ্জল এখনও পলাতক রয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে ওই মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।