বন্দর প্রতিনিধিঃ বন্দর ১নং খেয়াঘাটে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ যাত্রীর মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধারসহ একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সকালে শীতলক্ষ্যা নদী স্কুল ঘাট ও এর আশে পাশের এলাকা থেকে ওই লাশ গুলো উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় হচ্ছে, বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকার ফকির চাঁন মিয়ার ছেলে হোশিয়ারী শ্রমিক জনী (২৩) একই এলাকার মৃত জিয়াবল মিয়ার ছেলে নয়ামাটি শাকিলা ফ্যাশন হোশিয়ারী শ্রমিক ফালান (৩৫) মদনগঞ্জ নমুনা বাজার এলাকার মৃত কালা চাঁন মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৫) ও মদনগঞ্জ ইসলামপু এলাকার রমিজ উদ্দিন মিয়ার ইমন(২২)।
উদ্ধারকর্মীরা লাশ ৪টি উদ্ধার করে সংশ্লিস্ট প্রশাসনের মাধ্যমে দুপুরে নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। ট্রলার ডুবি ঘটনায় নিহতের পরিবারের কেউ সরকারি অনুদান পায়নি বলে জানিয়েছে তাদের স্বজনরা।
নিহতদের মধ্যে ফালান মিয়া নামাজের জানাযা মঙ্গলবার বেলা ১টায় মদনগঞ্জ পায়রা চত্বরে দ্বীন ইসলামের জানাযা ২টায় মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন মাঠ,ইমনের জানাযা বিকেল ৩টায় মদনগঞ্জ টিক্কারমোড় অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৩টি লাশেই মদনগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে নিহত স্বজনরা এবং অপর নিহত জনির জানাযা একই দিনে বাদ আছর ঘারমোড়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ঘারমোড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
ট্রলার ডুবি ঘটনায় নিহতের পরিবারকে সান্তনা ও সমবেদনা জানানোর জন্য বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর আলহাজ্ব ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর ছুটে আসেন এবং প্রতিটি জানাযায় তিনিসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ গ্রহন করেন। ওই সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট থেকে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী ট্রলার যোগে মদনগঞ্জ গামী ট্রলার ঘাটে উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
যাত্রী সংখ্যা বেশী থাকায় প্রায় অর্ধ শতাধিক যাত্রী ট্রলারে ছাদে অবস্থান করে। পরে ট্রলারটি স্কুল ঘাটের সামনে আসলে হাঠাৎ ট্রলারে ছাদ ধসে পড়লে ওই সময় ছাদে থাকা যাত্রীরা নদীতে পরে যায়। ওই সময় আতংকিত যাত্রীরা ট্রলার থেকে দ্রুত বের হতে গেলে ট্রলারটি উল্টে নদীতে তলিয়ে যায়। ট্রলারে যাত্রীরা প্রান বাচাতে সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অনেক যাত্রী দ্রুত গতিতে উঠতে গিয়ে আহত হয়।