জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ব্যপক সংঘর্ষ

431

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ ফাস্টফুডে খাবার খেয়ে বিল নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ব্যপক সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ ডিবি সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। ২৬ আগষ্ট রোববার রাতে খানপুর বরফকল খেয়াঘাট সংলগ্ন চৌরঙ্গী ফ্যান্টাসী পার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্র মতে জানা গেছে, মাইলাইফ কেয়ার ফাস্টফুড নামের একটি দোকানে পরিবার পরিজন নিয়ে খেতে যায় ডিবির দুই সদস্য এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুল। মিল্কসেইক খাওয়ার পরে খাবার ভাল হয়নি দাবি করে বিল দিতে রাজী হয়নি ডিবি সদস্যরা।

এসময় ডিবি সদস্যদের সঙ্গে দোকানের মালিক ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি জালালের পুত্র আলামিন ও রবিন তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তর্কের সময় উভয়ের  মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় যুবলীগ নেতা জালাল ও তার স্ত্রী রিনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে আসলে ডিবির দুই এএসআই মিলে তাদেরকে মারধর করে।  ঘটনা দেখে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুই এএসআইকে গনপিটুনী দেয়। তখন খবর পেয়ে ডিবি’র পরিদর্শক মাসুদ, এসআই মিজান ও এসআই সায়েম ঘটনাস্থলে আসলে লাঠিসোটা দিয়ে তাদেরকেও পিটুনী দেয়া হয়। পরে অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

সংঘর্ষে ডিবি’র এসআই মিজান ও এসআই সায়েম এবং যুবলীগ নেতা জালাল, ছেলে আলামিন ও রবিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ডিবি’র পরিদর্শক মাসুদ, এএসআই আমিনুল ও এএসআই বকুলসহ বাকীদের নগরীর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামীলীগ , যুবলীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে ।

খবর পেয়ে  জেলা ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  কামরুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাটির  সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান,  ঘটনাটির তদন্তের জন্য তাকে প্রধান করে  ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনায় যদি ডিবি পুলিশের কোন সদস্য দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।