সোনারগাঁ সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আট মাসেও গ্রেফতার হয়নি আলোচিত মিন্টু হত্যা মামলার অধিকাংশ আসামিরা। উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট সাদিপুর গ্রামের সুলতান আহম্মেদ মিন্টু হত্যার হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারী এবং প্রধান ইভটিজার নূরু নবী সহ মামলার অধিকাংশ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। গত ১২ জানুয়ারী স্থানীয় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও মিন্টুর মামাতো বোন মোসাঃ ফাতিহা আক্তার মিতুকে একই গ্রামের বখাটে নূরু নবী ও তার সহকারীরা ইভটিজিং করায় তার ফুফাতো ভাই সুলতান আহমেদ মিন্টু এর প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফুফাতো ভাই মিন্টুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ইভটিজাররা পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৪ জানুয়ারী বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মিন্টু মারা যায়। এঘটনায় ১৬ জানুয়ারী বন্দেরা গ্রামের ফজলকে হত্যা কাণ্ডের হুকুমদাতা ও একই গ্রামের জাকির হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে নিহতের পিতা সামসুল হক সুরুজ বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৩ জন আসামির মধ্যে ছয়জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করলেও অন্য আসামি, প্রধান ইভটিজার নূরু নবী, হুকুমের আসামী ফজল প্রধান, অনিক পারভেজ, রানা, ইব্রাহিম রানা, রফিক, ঝর্না সহ সাত আসামী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।গ্রেফতার হওয়া ছয়জন আসামির ইতিমধ্যে আলো মিয়া, শরিফ ও জয়নাল নামে তিনজন আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছে। নিহত মিন্টুর পিতা মামলার বাদী সুরুজ মিয়া জানান, আলো মিয়া,শরিফ, জয়নাল জামিনে বের হয়ে হত্যার হুকুমের আসামি ফজলের ছেলে আনোয়ার হোসেন মিলে মামলা তুলে না নিলে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা-গুম করা হবে। মামলার আসামীরা তার ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে চারটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার ছয় আসামিকে গ্রেফতার করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আসামীদের রিমান্ডে এনে জিঙ্গাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে এবং আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রধান করে, এতে আরও কিছু আসামীর নাম নতুন করে বেড়িয়ে আসে। জবান বন্দির পেক্ষিতে দুজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রধান ইভটিজার নূরু নবী ও হুকুমের আসামী ফজল প্রধান সহ অন্যান্য আসামীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, মামলাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে এবং আসামিদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।