ক্রাইম রিপোর্টার রাজবাড়ীঃ ২৯ অগাষ্ট বুধবার রাজবাড়ী রেজিস্টারের কাছে বিচার চাইলেন পাংশা সাব-রেজিস্টার অফিসের স্টাফরা। পাংশা সাব-রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক সমতির সাধারন সম্পাদক আল মামুন খান ও তার আপন ছোট ভাই ওবায়দুল হক টিপুর অত্যাচারে অধিষ্ঠ পাংশা সাব-রেজিষ্টার অফিসের কর্মচারীরা। আল মামুন খান ও ওবায়দুল হক টিপুর শাস্তির দাবিতে বিচার চাইলেন তারা। সুষ্ঠ বিচার না হলে প্রবর্তিতে কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান সাব-রেজিষ্টার অফিসের কর্মচারীরা।
পাংশা সাব-রেজিষ্টার অফিসের কর্মচারী নকলনবীশ রশিদ ও আল-আমিনকে অন্যায়ভাবে মারধর করেছে মামুন খান। টাকা চাওয়া কি তার দোষ?? একজন সরকারী কর্মচারীকে এমনভাবে মারধর করলে সাধারন মানুষের কি অবস্থা তাদের হাতে। পাংশা সাব-রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখক ও অন্যান্য লোকজন শঙ্কায় জীবনযাপন করছে বলে জানা যায়। নানা কায়দায় ফন্দি করে অনৈতিক ফায়দা লুটছে এই দুই সহদর ভাই। একই পরিবারের লোক হয়ে চারটি লাইসেন্স দিয়ে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে দলিল লেখকদের জিম্মি করে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা দুই ভাই।
আল-মামুন খান তার মূল ব্যবসা দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভ্যান্ডার,এ ছাড়া তার আর কোন ব্যবসা নাই। আল-মামুন খান আলীসান বাড়ী বানিয়েছেন। ৩৪শত স্কয়ার ফিটের বাড়ী। তিনি তথাকথিত দলিল লেখক সমিতির নামে তারা মুষ্টিমে ৫/৬ জন প্রতি সপ্তাহে টাকা ভাগ করে নেন ৮/১০ লক্ষ টাকা। নিরিহ দলিল লেখকরা তারা প্রতিজন পান ১৫শত থেকে ২ হাজার টাকা। মামুন খানের ছোট ভাই ওবায়দুল হক টিপু ম্যাজিস্ট্রেট কে মার ধর করার জন্য পাঁচ বছর সাজা হয়। কিছুদিন আগে নিরিহ এক দলিল লেখকের মুঠো ফনে হত্যার হুমকি দেন। ঐ দলিল লেখক পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেও কোন বিচার পাননি। এ সহদর দুইভায়ের ক্ষমতার উৎস কোথায়? কোন নিরিহ দলিল লেখক মুখ খুললেই তার মান-অপমান ও তার চেয়ার টেবিল পর্যন্ত গায়েব করে দেয়। ওবায়দুলহক টিপু পেশায় দলিল লেখক এবং স্ট্যাম্প ভ্যান্ডার। পাংশা উপজেলার স্বন্নিকটে ৩২শত স্কয়ার ফিটের একটি আলিসান বাড়ী করেছেন। জনমনে প্রশ্ন এত টাকার উৎস কোথায়? সাধার দলিল লেখকদের মনে প্রশ্ন আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় আর তারা কিভাবে আলিসান বাড়ী করে। প্রশাসন-তো আমাদের কথা শুনবে না।
পাংশা সাব-রেজিষ্টার অফিসের সাব-রেজিষ্টার মনিরুজ্জামান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করেন এবং পরে কথা বলবে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
সুত্র মতে, তাদের দুই ভাইয়ের হাতে পাংশা সাব-রেজিষ্টার অফিসের দলিল লেখকরা নিরাপদ নয় বলে জানা যায়। তাই প্রসাশনের নিকট নিরাপত্তার দাবী করেন পাংশা সাব-রেজিষ্টার অফিসের দলিল এবং কমৗচারীরা লেখকরা।