সময়ের চিন্তা ডট কমঃ ৩১শে আগষ্ট শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেডে শুয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাইতে কাতরাইতে সুমন মিয়া হত্যার চেষ্টা করা ঘাতকদের বর্ননা দিয়েছে। সুমন বলে- ‘বিপ্লবে, শায়লায়, সুহেল মন্ডল, খানকার মোড়ের হোটেল মাসুদ এসিড মারছে মনে হয়।’
৩১শে আগষ্ট শুক্রবার রাত ১০টায় ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর পাকাপুল এলাকায় অবস্থিত হাবিব মিয়ার বাড়িতে সুমনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্রা। সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ১ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সুমন। ঘটনার পর থেকেই অভিযোক্ত ৪ জন পলাতক রয়েছে। এঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
সুত্র মতে, নিহত সুমন মাসদাইর পাক্কা পুল এলাকার আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। তার লাশ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতার মর্গে রয়েছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘বিপ্লব ও সোহেল মন্ডল ছিলেন মাদকের ডিলার। সুমনের সাথেও তাদের ভালো সর্ম্পক ছিলো। বিভিন্ন স্থানে এক সাথে দেখা যেত ৩ জনকে। হতে পারে মাদকের টাকা পয়সার ভাগ নিয়েই দন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।’
নিহত সুমনের বোন রিতা বলেন, বিপ্লব ও সোহেল মন্ডলের কাছ থেকে সুমন ১লাখ ৪০ হাজার টাকা পেত। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়েছে সুমন। পরে আমরা তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করি। সুমন মৃত্যুর আগে জানায়, ‘বিপ্লব, শায়লা, সোহেল মন্ডল, খানকার মোড়ের হোটেল মাসুদ আমার ভাইয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।নিহতের মা কিসমত বেগম জানায়, ‘আমার পোলারে কিয়ের লইগা মারলো, তারে না মাইরা আমারে নিয়া যাইতো। আমার পোলারে মারার বিচার চাই।’
অন্যদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেল মন্ডলের ভাই স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আসলাম মেম্বার জানান, আমার ভাই অপরাধ করলে, আইন ও প্রশাসন তার সাজা দিবে।
এবিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা মঞ্জুর কাদের জানান, এখনও পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, মামলাও করা হয়নি।