ক্রাইম রিপোর্টারঃ শিক্ষার গ্রহনের শেষ নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেরই শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক মুল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহন বাঞ্ছনীয়। এলাকার অবহেলিত ও হিন্দু ধর্মাম্বলীদের ধর্মীয় শিক্ষায় আগ্রহ সৃষ্টিতে উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত করতে বিদেশের মাটিতে থেকেও কাজ করে যাচ্ছেন উৎপলেন্দু বিশ্বাস লিটন। তিনি লন্ডনে পড়াশোনার পাশাপাশি এলাকার মানুষের জন্য নিরলস ভাবে সমাজসেবা মুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তার নিজের অর্থে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সংখ্যালঘু অধ্যাষিত জঙ্গল ইউনিয়নের শিশু ও বয়স্কদের গীতা শিক্ষা প্রদানের লক্ষে প্রায় ২ মাস যাবৎ কাজ শুরু করেছেন। জঙ্গল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ১২টি গীতা শিক্ষা কার্যক্রম স্কুল পরিচালনা করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে গীতা শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন। বর্তমানে প্রায় ৮শতাধিক শিশু ও বয়স্করা এ গীতা শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহন করছেন।
গীতা শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক সুভাষ, বিপুল, সুকুমার জানান, জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে লন্ডন প্রবাসী উৎপলেন্দু বিশ্বাস লিটন এলাকার মানুষের পাশে সব সময় থাকেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবা মুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জঙ্গল বাজার, বণ্যতৈল, সমাধিনগর, রাসখোলা, বহলাকুন্ডু, চাপড়ী, ঘুরঘুরিয়া, সাধুখালীসহ ১২টি স্থানে হিন্দু ধর্মীয় স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে ছোট ছোট শিশুদেরসহ সকল বয়সের প্রায় ৮শতাধিক শিক্ষার্থী হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছে। তিনি মাসিক ১হাজার টাকা করে প্রতিজন শিক্ষককে সর্ম্মানী প্রদান করেন। এছাড়াও এ শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রানিত করতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিস্কুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লন্ডন প্রবাসী উৎপলেন্দু বিশ্বাস লিটন এ প্রসঙ্গে বলেন, জঙ্গল ইউনিয়নটি সংখ্যালঘু অধ্যাষিত। এ এলাকার মানুষ অবহেলিত। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বস্ত্র বিতরণ, সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। এ অঞ্চলের মানুষের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে জঙ্গল ইউনিয়নের ১২টি স্থানে ১২জন শিক্ষক দ্বারা গীতা শিক্ষা কার্যক্রম ২মাস পুর্বে শুরু করা হয়। এ শিক্ষা কার্যক্রমে বর্তমানে প্রায় ৮শতাধিক শিশু ও বয়স্করা শিক্ষা গ্রহন করছেন। আমি এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আরো সামাজিক কর্মকান্ড করবো। তবে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।