সময়ের চিন্তা ডট কমঃ: রাজধানীর ডেমরায় ৬ হাজার টাকার জন্য আফাজউদ্দিন মিয়া (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বৃদ্ধের ২ ছেলে রুবেল, প্রতিবন্ধী সোহেল ও বড় মেয়ে রুবিনাকে কুপিয়ে ও লাঠিপেটা করে আহত করে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডেমরার পূর্ব ডগাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মৃতের ছেলে রুবেল আহম্মেদ বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত একই পরিবারের ৭ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। থানা পুলিশ আসামিদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হল- ডগাইর পূর্বপাড়া নয়াবাড়ীর শরিয়ত উল্লাহর ছেলে আল জাবের ও তার মেয়ে বিথী, ছাবেদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বাদল, নুর আলম, শাহ আলম। এ ঘটনায় জড়িত ছাবেদ আলীর ছেলে হবু ওরফে হাবিবুল্লাহ ও তার ছেলে সাইফুলসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন পলাতক রয়েছে।
জানতে চাইলে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঢামেক হাসপাতালে যায় পুলিশ। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওই হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মৃতের ছেলে বাদী রুবেল গ্রিলের কাজ করেন। প্রধান আসামি আল জাবের তার বসতবাড়িতে রান্নাঘরের কাজের জন্য রুবেলকে নগদ ৬ হাজার টাকা দেন। কথা অনুযায়ী রুবেল ওই বাড়ির রান্নাঘরের কিছু অংশের কাজ করেন। এমতাবস্থায় ৩১ আগস্ট দুপুরে জাবের রুবেলকে রাস্তায় আটক করে রান্নাঘরের কাজ না করার কথা বলে প্রদানকৃত ৬ হাজার টাকা ফেরত চায়। এ সময় রুবেল রান্নাঘরের কাজ করেছে বলে জাবেরকে জানায়। এদিকে জাবের ২ দিনের মধ্যে টাকা ফেরতের জন্য রুবেলকে চাপ প্রয়োগ করে।
টাকা না পেয়ে জাবের ও তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, ধারালো চাপাতি ও ছোরাসহ রুবেলকে হত্যা করতে তাদের বাড়ি যায়। এ সময় তার বাবাকে সামনে পেয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা আফাজউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে।