নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি ও আসামীর সাথে দেখা করতে হলে টাকা ছাড়া চলে না এমনটাই বলছেন থানায় সেবা নিতে আসা জনসাধারন। তবে ওসি‘র আড়ালেই এই ঘটনা বেশি ঘটে। তিনি যতক্ষন থানায় অফিস করেন তক্ষন মনে হয় থানায় দারাগোরা বিপদে আছে। যখন সে বাহিরে চলে যায় তখনই শুরু হয় টাকা পয়সার লেনদেন এমন মন্তব্য সচেতন মহলের।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের যোগদানের পরে দারাগোদের সামারী এবং মানুষকে হয়রানি করে অর্থ কামানো অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু থানায় জিডি বা অভিযোগ করতে হলে বা গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের স্বজনরা থানার হাজতে দেখা করতে গেলে টাকা ছাড়া কাজ হয়না। পুরুষ ডিউিটি অফিসার থাকলে বিনা টাকায় এমন কি হারানো জিডিও করা যায় না। বিশেষ করে যারা এই থানায় দীর্ঘদিন কর্মরত আছে তাদের চাহিদা অন্যদের চেয়ে বেশি। গরীব মানুষ থানা জিডি করতে গেলে কোর্টের দোহাই দিয়ে পাঠিয়ে দেয় । আর যদি ব্যবসায়ী বা টাকাওয়ালা লোক হয় তাদের ঘটনা স্থল সদর থানায় হলেও ফতুল্লায় ঘটনা স্থল বানিয়ে জিডি বা অভিযোগ রুজু করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানায় কোন আসামী গ্রেপ্তার বা আটক হলে তাদের সাথে দেখা করতে হলে দুই সেন্ট্রি কে টাকা দিয়ে আসামীর সাথে দেখা করতে হয়। টাকা না দিলে দেখা করতে পারে না। এই হলো ফতুল্লা থানার মানবতার মহা পরিচয়। গতকালকের অনেকেই জিডি করতে পারেনি ডিউটি অফিসারের খুশি না করাতে পেরে।
ফতুল্লা থানায় যদি কোন প্রকার কোন তথ্য জানতে চাইলে টেবিলে টেবিলে দৌড়াতে হয়। ডিউটি অফিসর পাঠায় সেরেস্তা (মুন্সী) রুমে। আবার সেখান থেকে কর্তব্যরত পুলিশ পাঠায় ডিউটি অফিসারের কাছে এমনটাই বললেন গতকাল এক ভূক্তভোগী মহিলা । এমন ঘটনায় প্রায়ই ঘটে থাকে এমনটাই বললেন থানায় সেবা নিতে আসা ভূক্তভোগিরা।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান , আমাদের ওসি স্যার যথেষ্ট ভালো মানুষ এবং সৎ লোক । তিনি সামারী বা অবৈধ কোন প্রকার পুলিশ অনিয়ম করবে তা জানতে পারলে বা প্রমাণ দিলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়। তবে পুলিশে অনেক মায়ের অনেক সন্তান এক এক মানুষের স্বভাব চরিত্র ভিন্ন ভিন্ন। সুতরাং যদি অনিয়ম পাই তাহলে ব্যবস্থা নিবো ইনশাল্লাহ ।