সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলা ও প্রশাসনের কাছে ভুয়া অভিযোগ দিয়ে একটি সংখ্যালঘু পরিবারকে হয়রানি ও সর্বশান্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঐ পরিবারটিকে বসত ভিটা থেকেও উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র ও পাঁয়তারা অব্যাহত রয়েছে।
সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের জেয়ালা গ্রামের মৃত শশাংকর ব্যানার্জীর পুত্র অরুন ব্যানার্জী মঙ্গলবার বিকেলে বিডিএফ প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে এসব অভিযোগ করেন।
জানা যায়, অরুন ব্যানার্জীর পরিবার তাদের শত বছরের পুরনো পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করছেন। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে সাতক্ষীরা উত্তর কাটিয়া গ্রামের হাজী আঃ রউফের স্ত্রী লতিফা বেগম ও পুত্র আয়াতুল্লাহ মুজাহিদ তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি বলে দাবী করে আসছে। অথচ তারা এই জমির কোন বৈধ কাগজপত্র না দেখিয়ে কয়েকবার এলাকার একটি কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় জমির দখল নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে এ নিয়ে লতিফা বেগম ও পুত্র আয়াতুল্লাহ মুজাহিদ বিজ্ঞ অতিরিক্তি ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে হয়রানি শুরু করে। শুধু তাই নয় তাদের যোগসাজসে সাতক্ষীরার ডিবি কার্য্যালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অরুন ব্যানার্জীকে একজন মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে ভ‚য়া নামে একাধিক অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অরুন ব্যানার্জী আরো জানায়, আমি ও আমার ভাই বরুণ ব্যানার্জী পুরোহিতের কাজ করি। পূজা-অর্চনার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে অতি কষ্টে সংসার জীবন নির্বাহ করি। অথচ লতিফা বেগম ও পুত্র আয়াতুল্লাহ মুজাহিদের ষড়যন্ত্রে হয়রানি হয়ে সর্বশান্ত হতে চলেছে আমার পরিবার। তাছাড়া এখনো আমাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্র ও হয়রানির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে হয়রানি ও ষড়যন্ত্র বন্ধে সাতক্ষীরার পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।