শিক্ষার্থীদের কাছে অনুমতি চেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান

586

আসাদুর রহমান সানী, সময়ের চিন্তা ডট কমঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে শিক্ষার্থীদের কাছে অনুমতি চেয়েছেন  নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আমি টাকা পয়সা নিয়ে রাজনীতি করি না,  পছন্দও করি না। কোন দিন করিও নাই। তিনি আরও বলেন, তোমরা শিক্ষিত ছেলে আমি কোন দলফল চিনি না। আমি একটু বুঝি তোমরা আমাদের সন্তান। আমাকে তোমাদের কাছ থেকে একটা অনুমতি নেওয়া দরকার। তোমরা কি মনে কর সামনের জাতীয় নির্বাচনটা আমার করা দরকার? তোমার বাবা, তোমার ভাই, তোমার খুবই কাছের লোক নির্বাচন করলে তোমরা যে দায়ীত্ব পালন করতে আমি নির্বাচন করলে তোমরা তাদের জন্য যেভাবে পরিশ্রম করতে আমার জন্য কি সেভাবে করবে।

১৬ আগষ্ট রোববার দুপুরে ফতুল্লা ইসদাইর এলাকায় এ কে এম সামছুজ্জোহা স্টেডিয়ামে সরকারি তোলারাম  কলেজ ছাত্র সংসদ আয়োজিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শিক্ষার্খীদের এসব কথা বলেন।

এ সময় শামীম ওসমান বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের ৯৩ জন মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। এটা কেমন ধরণের রাজনীতি? এই রাজনীতি রাজনীতিবিদদের লজ্জা দেয়। তিনি দেশের যেখানে অন্যায় অত্যাচার হবে সেখানেই প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

শামীম ওসমান বর্তমান সরকারের আমলে তার নির্বাচনী এলাকায় ৭ হাজার ৪শ’ কোটি টাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আগামীতে আবারও নির্বাচিত হতে পারলে নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য আরও নতুন কিছু করার ইচ্ছা পোষন করেন। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন হওয়ার কথাও বলেন সাংসদ শামীম ওসমান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  শামীম ওসমানের সহধর্মিণী ও  জেলা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী সালমা ওসমান লিপি শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক জ্ঞাণের মাধ্যমে নিজেদেরকে  হালনাগাদ করার কথা বলেন।

সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রাণী সিংহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শারমিন হাবীব বিন্নি, কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হাবিবুর রহমান রিয়াদসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।