বাড়ীতে ঠুকে ভাড়াটিয়ার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়ী-ঘরে তালা দেওয়ার হুমকি

550

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ ফতুল্লা থানার মাসদাইরে সন্ত্রাসীরা বাড়ীতে ভাড়াটিয়াদের মারধরের ভয় দেখিয়ে ভাড়াটিয়ার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে ভাড়া বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে। না গেলে তাদেরসহ বাড়ী ঘরে তালা লাগিয়ে দিবে বলে হুংকার দিয়ে যায়।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় ফতুল্লার থানার মাসদাইর এলাকার বেকারীর মোড়ে মরহুম হাজী সাইজ্জদ্দিন বেপারী বাড়িতে ঘটনাটি ঘটিয়েছে একই এলাকার সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেন রনি ও তার পিতা ঈব্রাহীম। সন্ত্রাসী রনির বিরোদ্ধে মাদক আইনে ও খুনের মামলাসহ অনেক মামলা রয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। গত ১০/০৮/১৮ ইং তারিখে সকাল ৮.৩০ মিনিটে মরহুম হাজী সাইজ্জদ্দিন বেপারীর বাড়ীতে গিয়ে ভাড়াটিয়াদের সাথে খারাপ আচরন করায়, জোড়পুর্বক ভাড়া আদায়ের চেষ্ঠা করলে হাজী সাহানারা বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী রনি ও তার পিতা ইব্রাহীমের নামে একটি সাধারন ডায়েরী করে।যার নং ৭৮৩ তারিখ ১৫/০৮/১৮ইং। বাদীনি জিডিতে আরও উল্লেখ করেন যে,তিনি আগাইয়া গেলে তাকেও মারপিট করার জন্য তেড়ে আসে এবং প্রান নাশের হুমকি দেয় সন্ত্রাসী রনি।

গতকাল ২০/০৯/১৮ইং তারিখে হাজী সাহানারা বেগমের ছেলে হাজী মনির হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসী রনি, তার পিতা ইব্রাহীম,মাতা রওশন আরা বেগমের নামে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী রনির পিতা হাজী ইব্রাহীম পিস্তল নিয়ে আজ ২১/০৯/১৮ইং তারিখে সকালে হাজী সাহানারা বেগমের বাড়ীতে ডুকে ভাড়াটিয়া আলামিনের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে বাড়ী-ঘরে তালা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

সুত্র মতে, হাজী ইব্রাহীম ৩ জনকে হজে পাঠানোর জন্য হাজী মনির হোসেনের সাথে কথা হয়। সরকারী সর্বনিম্ম মুল্যে ৩,২০,০০০ টাকা করে ৩জনের মোট ৯,৬০,০০০ টাকা দেয়ার কথা হলেও হাজী ইব্রাহীম ১৫ কিস্তিতে ৮,৪০,০০০ টাকা প্রদান করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা না দেওয়ায়  ২০১৭ সালের হজে পাঠাতে পারেন নাই মনির হোসেন। বাদী হাজী মনির জানান যে,হাজী ইব্রাহীমের ৩ জনের পাসপোর্টে ভিসা লাগানো হয়েছে, টিকেট কাটা হয়েছে কিন্তু টাকা পরিশোধ না করায় তাদের পাঠাতে পারেন নাই। এতে করে হাজী মনিরের অনেক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, হাজী ইব্রাহীমের সাথের একই এলাকার অন্যলোকেরা ঠিকই হজে গিয়েছে। উক্ত ঘটনার জের ধরে হাজী ইব্রাহীম মাসদাইরে হাজী মনির তার বাসায় গেলে তাকে আটকিয়ে জোড়পুর্বক ৩০/০৭/১৮ইং তারিখে ইসলামী ব্যংকের চেকের পাতায় ৯,০০,০০০ টাকা লিখিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী হাজী ইব্রাহীমের ছেলে রনি অনেকবার টাকা নিয়েছে বলেও জানায় হাজী মনির হোসেন।

হাজী সাহানারা বেগম ও হাজী মনির হোসেন সন্ত্রাসী রনি ও তার পিতা হাজী ইব্রাহীমের ভয়ে নিজের বাড়িতে যেতে পারছেন না বলে জানান হাজী সাহানারা বেগম। এব্যপারে ভোক্তভোগিরা পুলিশ প্রসাশন ও জেলা প্রসাশকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।