স্টাফ রিপোর্টারঃ সিনেমা কিংবা উপণ্যাসে নয় বাস্তবে পাওয়া গেল নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে এক বধুর দুই স্বামী। এঘটনা জানাজানি হওয়ায় ঐ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুপগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে লিপি আক্তারের পূর্বে মো.ফয়সাল মিয়া নামে এক যুবক এর সাথে বিয়ে হয়। সেই ঘরে তাদের তাসমিয়া (২) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাহার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার শিবপুর উত্তর বাখরনগর। বর্তমান ঠিকানা নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়ায় গিয়াস উদ্দিন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে (লিপি আক্তার আই ডি নং- ৪৪২৭৫) আশা ব্রাঞ্জ-২ রুপগঞ্জ অফিসে কর্মরত মো.আব্দুল হালিম এর সাথে পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে তোলে। প্রায় দুই বছর পর গত ০৪/০৩/২০১৮ ইং তারিখে আত্মীয় স্ববজনদের চোখ ফাঁকি দিয়ে রেজিস্টার কাবিন মুলে বিবাহ করে। এবং এক বাসায় দুই স্বামী নিয়ে সংসার করতে থাকে, প্রথম স্বামী চাকুরীর সুবাদে শনিরবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হবিগঞ্জ থাকে। এতে পুরুষ লোভী লিপি বেগম ২ দিন প্রথম স্বামীর সাথে থাকে আর ৫ দিন দ্বিতীয় স্বামীর সাথে রাত যাপন করে আসছে। তার দ্বিতীয় স্বামী আব্দুল হালিম এর কাছে জানতে পারি সে নাকি গর্ভবতী তাহলে এই বাচ্চার বাবা কে ? এই প্রশ্ন এখন ঘোর পাক খাচ্ছে এলাকা বাসির মধ্যে। এ ভাবে রুপগঞ্জ শহরে দীর্ঘদিন ধরে দুই স্বামী নিয়ে বসবাস করে আসছে। এদিকে মো.আব্দুল হালিম এর প্রথম স্ত্রী সালমা আক্তার ইতোমধ্যে জানতে পারে আব্দুল হালিম আবার বিয়ে করছে। প্রথম স্ত্রী আব্দুল হালিম এর কাছে জানতে চাইলে শুরু হয় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পারলে গত ০২/১০/২০১৮ইং তারিখে নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন প্রথম স্ত্রী সালমা আক্তার। যার মামলা নং-২৩৩/ ২০১৮ এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো ঘটনার বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত লিপি আক্তার বলেন আমাকে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে আমি আত্মহত্যা করে হালিমকে ফাঁসিয়ে দিবো।