সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারের কাছে চাঁদাদাবি উত্তেজনা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আসঙ্কা

413

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক ঠিকাদারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদাবাজদের সাথে ঠিকাদারের লোকজন মুখমোখী অবস্থান নিলে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলেও যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের হাতে প্রাণ নাশের আসঙ্কা করছেন ঠিকাদার মিজানুর রহমান দিপু।

অভিযোগ জানা গেছে, নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড সাইলো এলাকার নামধারী পদহীন যুবলীগ সন্ত্রাসী শরিফ হোসেন, যুবদল সন্ত্রাসী আশরাফ ও সানাউল্লাহ গত এক সপ্তাহ ধরে মেসার্স মিজান এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ঠিকাদার মিজানুর রহমান ওরফে দিপুর ব্যবসায়ীক পাঠনার সরকার এন্টারপ্রাইজ এর মালিকের কাছে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকাদারী ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি প্রদান করে আসছে। এসব চাঁদাবাজরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে কর্মকর্তাদেরকেও হুমকি দিয়েছে তাদের চাঁদা না দিয়ে সরকার ও মিজান এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন ব্যবসা করতে পারবেনা।   মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় চাঁদাবাজরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেইন গেইটের সামনে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মেসার্স মিজান এন্টারপ্রাইজের মালিক মিজানুর রহমান দিপু তার লোকজন নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেইন গেইটের সামনে গিয়ে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলে দেখা দেয় উত্তেজনা। এসময় চাঁদাবাজ ও ঠিকাদারের লোকজন মুখমোখী অবস্থান নিলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে চাঁদাবাজ গ্রæপ পিছু হটে। এতে প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে মেসার্স মিজান এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার মিজানুর রহমান জানায়, আমি ব্যক্তিগত কাজে বিদেশ চলে গেলে সাইলো এলাকার বিএনপি পন্থি কয়েকজন সন্ত্রাসীর পরোচনায় নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কারণ দর্শানোর কোন নোটিশ না দিয়ে আমাকে বাংলাদেশ আন্ত:জিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন সাইলো শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। আমি দেশে ফিরে এসে এই বহিস্কারের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালে আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে গায়েল করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আমার পাঠনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের কাছে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আমার সাথে ব্যবসায়ীক চুক্তি বাতিল করার চাপ দেয়। কিন্তু পাঠনাররা তাদের হুমকি আমলে না নিলে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা সাইলো এলাকায় লাগানো আমার সকল ব্যানার পেষ্টুন ভেঙ্গে আহুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি আমি স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের জানালে তারা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। তার পরও মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গিয়ে হুমকি ধমকি দিলে আমি প্রতিবাদ করতে যাই। তখন শরিফ, আশরাফ ও সানাউল্লাসহ এসব সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা আমাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় উত্তেজন দেখা দিলে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। চাঁদাদাবি ও প্রাণ নাশের হুমকির বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় মিজান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরিফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানায়, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কিন্তু কোন ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।