ফতুল্লা প্রতিনিধি: ফতুল্লায় তিন দিনে ৩ স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার তিন ছাত্রী ১ম, ৭ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় হয়েছে। পুলিশ তিন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর, সস্তাপুরের কাঠেরপুল, ও দেলপাড়া টাওয়ার পাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-দেলপাড়া টাওয়ার পাড়া এলাকার মনির হোসেন (৪৫), সস্তাপুরের কাঠেরপুল এলাকার মিজান (১৯), ও দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার কোচিং সেন্টারের শিক্ষক তাপস (৪০)। ধর্ষণের ঘটনা তিনটি ঘটেছে শুক্রবার, শনিবার ও সোমবার ফতুল্লার পৃথক তিনটি স্থানে।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে ফতুল্লার দেলপাড়া টাওয়ার পাড়া এলাকায় ১০ টাকা দিয়ে নিজের মুরগির খামারে নিয়ে ১ম শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণ করে মনির হোসেন। পরে শিশুর পরিবার থানায় অভিযোগ করলে মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে ২০ অক্টোবর দুপুরে ৭ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে মিজান তার ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে। ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করলে নির্যাতিত ছাত্রীর অভিভাবকরা বিচার না মেনে থানায় অভিযোগ করলে সোমবার রাতে কাঠেরপুল এলাকায় অভিযান চালিয় ধর্ষক মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে ২১ অক্টোবর দুপুরে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক তাপস। এ ঘটনায় তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের বলেন, তিন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়ের করা মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।