নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম এমদাদুল হকের আদালত তাকে অব্যাহতি দেন এবং অপর আসামি অপুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার কবির বাবুল বলেন, ‘মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। সেলিম ওসমান মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সেলিম ওসমানকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন এবং আসামি অপুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৩মে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কলাগাছিয়ার কল্যানদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে শ্যামল কান্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই রাতেই তাকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত¡াবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০ পুলিশি প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঘটনাটি ওই সময় নারায়ণগঞ্জ তথা দেশে এবং দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জেরও বাইরেও।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কি না- সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমান বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করেন।