সোনারগাঁ প্রতিনিধি, সময়েরচিন্তা ডট কম:সোনারগাঁয়ে শুরু হয়েছে ৩ নারীর ভোটের লড়াই। এদের একজন স্বামীর জন্য অপর দুজন নিজের জন্য চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। ফলে ৩ নারীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের রাজনীতি। জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে সরকারের পক্ষে জনমত বাড়াতে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির তিন নারী। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জনমত গঠনে পাড়ামহল্লা, হাটবাজারে পথসভা, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে ভোটারদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন তারা।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে তার পতœী ডালিয়া লিয়াকত, মনোনয়নপ্রত্যাশী অনন্যা হুসাইন মৌসুমী ও আওয়ামী লীগের আট মনোনয়নপ্রত্যাশীর পাশাপাশি একমাত্র নারী হিসেবে মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন ড. সেলিনা আক্তার। তিন নারীর প্রচারেই বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র প্রাধান্য পেয়েছে। তাদের দাবি, ভোটারদের কাছে এ সরকারের উন্নয়ন চিত্র পৌঁছে দিতে পারলে আগামীতেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে জাতীয় পার্টি। এমনটিই জানালেন ডালিয়া লিয়াকত। তিনি বলেন, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সোনারগাঁওয়ের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করে সরকারের ভাবমূর্তি সমুন্নত রেখেছেন। তাই আগামীতেও তিনি মনোনীত হবেন।
এদিকে এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পালিত কন্যা হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় মহিলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসাইন মৌসুমী গত সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশায় নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। তবে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতেও প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে একমাত্র নারী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ মোল্লা বাদশার ছোট মেয়ে ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী ড. সেলিনা আক্তার। তার মতে, বিএনপি-জামায়াতকে এখন আর কেউ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগই হচ্ছে এ দেশের জনগণের আস্থার স্থল। তাই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এ দেশের আপামর জনসাধারণ আওয়ামী লীগ সরকারকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে তিন নারী ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে বিএনপি-জামায়াতের কোনো প্রার্থীকে উন্মুক্ত প্রচারে দেখা না গেলেও কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।