সময়ের চিন্তা ডট কম: অঘোষিত বাস চলাচল বন্ধ আর পরিবহন সংকটের কারনে কাজের তাগিদে রাস্তায় বেরিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলরত সাধারন যাত্রীদের। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভের ঝড় বয়ে গেছে।তবে রাজধানীতে ছিল না কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ কিংবা কোন পরিবহন ধর্মঘট। তারপরেও হঠাৎ নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে ছিল বাসের সংকট। আবার বন্ধ ছিল দু’টি পরিবহন কোম্পানীর বাস চলাচল।
২৭ই অক্টোবর শনিবার সকালে নগরীর চাষাড়ায় গিয়ে দেখাগেছে, ভোর থেকেই বন্ধ ছিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলরত বন্ধন ও উৎসব পরিবহনের কাউন্টার গুলো। তবে একই স্থান থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শীতল পরিবহনের বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রীদের তুলনায় বাস ছিল অনেক কম। তবে খানপুর এলাকা থেকে ঢাকা মিরপুরগামী চলাচলরত হিমাচল পরিবহনের বাস চলাচল সকাল থেকে বন্ধ থাকলেও দুপুর ১ টার পর থেকে চলাচল শুরু করেছে দেখা যায়।তাই বাস সংকটের কারনে এদিন সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী কর্মজীবিদের। ফলে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে শেষতক বেশীর ভাগ মানুষকেই বাঁদুর ঝোলা হয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছে ট্রেনের বগিতে চড়ে।
তবে কি কারনে বাস চলাচল বন্ধ ছিল সেই ব্যাপারে পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি।ফলে সাধারন যাত্রীদের ধারনা, শনিবার দুপুর ৩ টায় ফতুল্লার ইসদাইস্থ শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে “জেগেছে নারায়ণগঞ্জ-জেগে উঠো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” শ্লোগানে স্বাধীনতা বিরোধী, আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি আলহাজ¦ এ কে এম শামীম ওসমানের আয়োজিত স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভার কারনেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
অর্থাৎ, এই জনসভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীদের আনায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা চলাচলরত বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানীর বেশীরভাগ বাসই ব্যবহৃত হওয়ায় এদিন পরিবহন সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল।
তবে, এদিন ভোর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলরত শীতল পরিবহনের বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় সাধারন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে।
এব্যাপারে চাষাড়া থেকে নিয়মিত ঢাকা যাতায়াতকারী যাত্রী রফিকুল ইসলাম নিউজ প্রাচ্যের ডান্ডিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কোন সমাবেশ হলেই যেন নারায়ণগঞ্জে বাস চলাচল বন্ধ থাকাটা একটা রীতিতে পরিনত হয়েছে। রাজনীতিবিদরা জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করার দাবী করলেও খোদ তাদের জন্যই সাধারন জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’
আরেকজন চাকুরীজীবি যাত্রী সুলতানা ইয়াসমিন বলেন, ‘শনিবার ভোর থেকেই ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকবে জানলে বাসা থেকেই বের হতাম না। কর্মস্থলে যেতে বাস না পাওয়ার কারনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সা কিংবা ক্যাবে চড়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।’