শীর্ষ মাদক সম্রাট একাধিক মামলার আসামী সালাউদ্দীন বিটুর মাদক সাম্রাজ্য এখনও অক্ষত

459

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ মাদক সম্রাট একাধিক মামলার আসামী সালাউদ্দীন বিটুর মাদক সাম্রাজ্য এখনও অক্ষত আছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিটু একটি সাধারন পরিবারের সন্তান হয়েও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ইয়াবা, বিদেশী মদ, বিয়ার, ফেনসিডিল, আর ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে এই শীর্ষ মাদক সম্রাট এখন কোটিপতি। সূত্র আরও জানায়, নারায়ণগঞ্জের গোপচর, তামাকপট্রি, শীতলক্ষ্যা, শহীদ নগর এলাকা জুড়ে অভিনব কায়দায় মাদকের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে এই শীর্ষ মাদক সম্রাট বিটুর মাধ্যমে।

জানা গেছে, গত বছর গোপচর এলাকাস্হ বগুড়া ট্রান্সপোর্ট থেকে একটি ফেনসিডিল ভর্তি গাড়ীসহ উক্ত ট্রান্সপোর্টের মালিক ইমরান, সীমান্তবর্তী জেলা যশোরের ফেনসিডিল ব্যবসায়ী সহ মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটুকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম। এ ঘটনায় মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু, ইমরান এবং যশোরের ফেনসিডিল ডিলার প্রায় ২ মাস ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল। ঢাকা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত পেয়ে ফের মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠে মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু ও তার সহযোগীরা। ফেনসিডিল মামলায় ঢাকার কারাগার থেকে বের হওয়ার মাত্র কয়েক দিন পর কয়েক শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নাঃগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে নাঃগঞ্জ কারাগারে বন্দী ছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আইনের ফাক ফোকঁড় পেড়িয়ে এই মামলায় জামিন লাভ করে মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু এবং ফের সক্রিয় হয়ে উঠে মাদক সহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়।

সুএে জানা গেছে, তামাক পট্রি, সৈয়দপুর, শহীদ নগর, শীতলক্ষ্যা এবং গোপচর এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটুর বিরুদ্ধে ঢাকা মিন্টো রোড ডিবিতে, নাঃগঞ্জ ডিবি এবং নাঃগঞ্জ সদর মডেল থানায় মাদক, হত্যা সহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে । মুন্সীগঞ্জের আদি বাসিন্দা হাবলু মিয়ার ছেলে সালাউদ্দীন বিটুর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ এই মাদক সম্রাট সৈয়দপুর, তামাকপট্রি, শহীদ নগর, গোপচর এলাকায় মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অনেক মানুষের সম্পত্তি বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে, নিজের ইচ্ছা মোতাবেক দাম দিয়ে জোড় পুর্বক কিনে নেয়।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন, একটি নিম্নমধ্যবিও পরিবারের সন্তান গত কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে অবৈধ উপায়ে কোটিপতি বনে কিভাবে?? তাছাড়া নাঃগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন  তামাকপট্রি এলাকায় ৩ ইউনিটের ৭ তলা একটি বিল্ডিং রয়েছে। মাএ কয়েক বছরে জিরো থেকো হিরো বনে যাওয়া এই মাদক সম্রাটের অর্থের উৎস কোথায় এবং তার অবৈধ আয় বর্হিভূত সম্পওির হিসাব তদন্তের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন সহ জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন নাঃগঞ্জের সচেনতন মহল । এব্যপারে জানতে সালাউদ্দীন বিটুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।