সময়ের চিন্তা ডট কমঃ নারায়নগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের ১৮ নং ওয়ার্ড, ১৯ নং ওয়ার্ড, ২০ নং ওয়ার্ড, ২১ নং ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ড গুলোর সর্বত্র একই চিত্র। সবগুলো ওয়ার্ডে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই।
সাধারণ রোগীদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে আলাপে জানা যায়, উন্নত বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার ব্যায়ভার দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই খানপুরের ৩০০ শয্যা হাপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় সাধারণ রোগীরা। রোগীর সাথে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বজনেরা জানান, হাসপাতালের ২১ নং ওয়ার্ডে আমার রোগী ভর্তি আছেন। আমি ২দিন যাবত রোগীর সাথে হাসপাতালে অবস্থান করছি। তিনি আক্ষেপের সাথে জানান, জেলার সবচেয়ে বড় হাসাতালটি বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালে সরজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ওয়াস রুমগুলো অপরিচ্ছন্ন। সাল্পাই লাইনের কলের পয়েন্টে বেশ কয়েকটা কল দীর্ঘদিন যাবৎ না থাকায় পানি পড়ে অপচয় হচ্ছে। আর পানির অপচয় হওয়ার কারনে রোগীরা সময়মত হাসপাতালে তাদের চাহিদা মোতাবেক পানি পাচ্ছেন না।
এছাড়াও ওয়ার্ডগুলোতে কয়েক বছর যাবৎ লোহার বেডগুলো মেরামত না করার করুনভাবে ও একান্ত বাধ্য হয়ে লক্কর-ঝক্কর বেডে পরিনত হওয়ায় প্রায়ই বেড ভেঙ্গে দূর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও হাসপতালে সারাদিন বিড়ালের উৎপাত চললেও সন্ধ্যার পরপরই শুরু হয় কুকুরের উৎপাত। কুকুর আর বিড়ালেরা প্রতিটা ওয়ার্ডে বিচরন করলেও তাড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোতলেবের অফিস কক্ষে না থাকায় তার পিএ সিদ্দিক জানান, হাসপাতালের কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে আমরা শীর্ঘই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব।