জাপা মহাসচিবের বিরুদ্ধে মানহানীকর স্ট্যাটাস দেয়ায় মহিলা পার্টির সাধারন সম্পাদক মৌসুমির বিরুদ্ধে মামলা

661

সোনারগাঁ প্রতিনিধি:জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি’র বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানীকর স্ট্যাটাস দেয়ায় জাতীয় মহিলা পার্টির সাধারন সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুল হক বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এটাই নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রথম মামলা।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেছেন, সোনারগাঁয়ের হাতকোপা এলাকার মৃত কিরন মিয়ার মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী বিভিন্ন সময় তার ফেসবুক আইডি Onnana hossain তে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানীকর স্ট্যাটাস দিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫টা ৩৩ মিনিটে মৌসুমী তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন “আসলে জাতীয় পার্টির ত্যাগী আর তৃণমূল নেতারা পয়সার কাছে হেড়ে যাবে শুধুমাত্র মহাসচিবের ভুল সিলেকশন এর কারনে। মহাসচিব যদি তার লোভ আর একক চালাকি বন্ধ না করেন তবে আমরাও ওনাকে ক্ষমা করবো না। উনার দালাল গ্রæপ দিয়ে স্যারকে যা বুঝায় স্যার তাই বুঝে। স্যার ইমোশনাল। এবার একটা কিছু করতে হবে। আমি উচিৎ কথা বলি তাই ওনার পক্ষের লোকেরা লাইক করে না। না করলেও আমার কিছু যায় না। আমি আমার হক নিয়ে বলবোই। গত বছর আমি এই মহাসচিবের জন্য কিছুই করতে পারিনি। উনি আমাকে প্রতিজ্ঞা করেছিলো আল্লাহর কাবা ঘর ছুয়ে। দেখি কি করেন এই বার”।

এছাড়া মৌসুমী গত ৬ নভেম্বর বিকাল ৩টা ৩১ মিনিটে তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছিলেন “আমার এলাকায় যারা রাজনীতি করে তারা নিজেদের হাডানে রাজনীতি না করার কারণে, খাল কেটে কুমির এনেছে, এখন সেই কুমিরকে খাবার দিতে দিতে নিজেরা খাবার হয়ে গেছে”। ওই দিন ৩টা ৫২ মিনিটে মৌসুমী আবারো লিখেন “জাতীয় পার্টির ৪/৫ জন নির্বাচন নমিনেশন নিয়ে ভালোই বানিজ্য করছে। একজন মোটা হচ্ছে পয়সা পেয়ে, অন্যজন দিয়ে বোকা হচ্ছে”। তাছাড়া ১৪ নভেম্বর ০০.৫৩ ঘটিকায় মৌসুমী তার ফেসবুক আইডির এক স্ট্যাটাসে “বারবার এই দালাল গুলোই কখনও আওয়ামী লীগ কখনও বিএনপির পা চাটা কুত্তা হয়ে সত্যিকার এরশাদ প্রেমিকদের পিছনে সরিয়ে দিয়ে আজ জাতীয় পার্টিকে বিলুপ্তির পথে নিয়ে গেছে” সহ আরো অশোভনীয় তথ্য প্রকাশ করেন। ফেসবুকে মৌসুমীর এসব মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানীকর তথ্য প্রকাশের কারনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি সহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এছাড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে পারস্পরিক শত্রæতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে। যা দলের জন্য ক্ষতিকর বিধায় মামলার বাদি সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুল হক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অন্যন্যা হুসেইন মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম মিয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।