রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক ইট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় তারা প্রায় একঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়কের আশুলিপাড়া এলাকায় এ কর্মর্সূচি পালন করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েকমাস যাবত দাউদপুর ইউনিয়নের আশুলিপাড়া ও দাউদপুর বাজার এলাকায় আরবাব নামে একটি আবাসন কোম্পানী ভূমি আগ্রাসন চালাচ্ছিল। এই ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও ইট ব্যবসায়ী স্থানীয় হামিদ মিয়ার ছেলে চানঁ মিয়া কৃষকদের পক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এ কারনে প্রতিষ্ঠানের নিযুক্ত ব্যক্তি মিনার হোসেন, মঞ্জু, রমজান, উজ্জলসহ আরো কয়েকজন তাকে মামলায় ফাসাঁনোসহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। এ কারনে চানঁ মিয়া জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডাইরিও করেন। এদিকে, গত ১৬ নভেম্বর একই এলাকার আফাজউদ্দিনের মেয়ে মায়া আক্তার বাদি হয়ে চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। উল্লেখিত মামলায় গত ৩ দিন পূর্বে পুলিশ তাকে আটক করে। আটকের আগে চাঁন মিয়া জানতেন না তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ মামলার বাদি এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাদক ব্যবসার অভিযোগে গত কয়েকবছর পূর্বে তাকে এলাকা ছাড়া করা হয়। বর্তমানে সে রাজধানীতে বসবাস করছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন চাঁন মিয়াকে ফাসাতে মায়াকে অর্থ প্রলোভন দেখিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে এলাকাবাসী ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়কের আশুলিপাড়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন। এ সময় মামলা প্রত্যাহার ও চাঁন মিয়ার মুক্তির দাবিতে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
এব্যাপারে মায়া আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেলেও বাদির বড়ভাই সেলিম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে আমার বোনের দায়ের করা মামলাটি সঠিক নাও হতে পারে। কারন আমার বোন কয়েক বছর যাবত এলাকায় বসবাস করছেন না। আমি তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাকে খুজে পেলে মামলাটি নিস্পত্তি করে দেয়ার চেষ্টা করবো।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদ আহমেদ বলেন, যদি ব্যবসায়ীকে ফাসানোর চেষ্টায় মামলা করে থাকে তাহলে তা তদন্তেই বের হয়ে আসবে। সেক্ষেত্রে আইনে বাদির বিরুদ্ধে একই ধারায় প্রসিকিউসন দেয়ার সুযোগ আছে।