হুমায়ুন কবির, সোনারগাঁ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের আমান সিমেন্ট ফ্যাক্টীর সামনে ইসমাইল মেম্বারের লোকজন ও প্রশাসনের সহযোগীতায় ইজারা ছাড়াই দীর্ঘ এক বছর যাবত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকাসহ আশপাশের ১০ গ্রামের ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এঘটনায় স্থানীয় কৃষকের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে ভূক্তভোগী এলাকাবাসীরা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেও কোন প্রকার ফল পাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ ইসমাইল মেম্বার উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। সোনারগাঁয়ের বির্তকীত ব্যক্তি ইসমাইল মেম্বার বেপরোয়া ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। সোনারগাঁ উপজেলার কোথাও বালু মহল নেই। কি করে ইসমাইল মেম্বার বালি উত্তোলন করে। এলাকাবাসীর ধারণা তার সাথে প্রশাসনের লোকদের বড় সখ্যতা রয়েছে।
জানা গেছে, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আমান সিমেন্ট ফ্যাক্টীর সামনে এলাকা দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর তীরবর্তী স্থানে ইজারা ছাড়াই স্থানীয় ইসমাইল মেম্বার ও তার ছেলে রকি একবছর যাবত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার আশপাশের ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হতে বসেছে। একটি খনন যন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে নদীর তীরবর্তী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীরবর্তী কমপক্ষে ১০গ্রাম নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। তবে এ অভিযোগ ইসমাইল মেম্বার অস্বিকার করে বলেন আমি বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত নই। আপনি যা পারেন লিখে দেন আমার কোন আশে যায়না। তিনি আরো বলেন, আমান সিমেন্ট ফ্যাক্টীর লোকজন তাদের সুবিধার্থে পাথরের জাহাজ নোঙ্গর করতে না পারায় ড্রেজিং করার জন্য খনন করছে আমার কি। সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদী তীরবর্তী হাড়িয়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, জোড় খাটিয়ে ইসমাইল মেম্বার অবৈধভাবে বালু কেটে নিচ্ছে। স্থানীয়রা বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন করেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারেনি। এক সময়ের এ বিএনপির নেতা ইসমাইল মেম্বার এখন সুযোগ মতে সরকার দলীয় নেতা বনে গিয়ে আমাদের এলাকার জমি ও বসত বাড়ি শেষ করে দিচ্ছে। এই ইসমাইল মেম্বার একজন ভুমিদস্যু, চিহিৃতি চাদাবাজ ও এলাকার সন্ত্রাসীদের আশ্রায় দাতা।
গত এক বছর যাবত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন শুরু করলে গ্রামবাসী বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে বাধাঁ দেয়। এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে ড্রেজার শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। একাধীকবার ড্রেজার আটক করলেও তারা আবার নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি রুহুল আমিন রিমন বলেন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা যতবড় শক্তিশালী লোকই হোক না কেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম বলেন অবৈধ ভাবে বালু উত্ত্লানের ব্যাপারে আমি জানিনা, যদি করে তাহলে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলম বলেন অবৈধ ভাবে বালু উত্ত্লানের ব্যাপারে আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে ইসমাইল মেম্বার বলেন অবৈধ ভাবে বালু উত্ত্লানের ব্যাপারে আমি জানিনা, যারা সংবাদ দিয়েছে তা মিথ্যে ও বানোয়াট।