সময়ের চিন্তা ডট কম, বন্দর প্রতিনিধিঃনারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙ্গর করা গমবাহী এমভি ও টিএসএস ঈষান-২ জাহাজের ৪২ বছর বয়সী কর্মচারী জাহিদুল ইসলামের ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে বন্দর থানার কাইত্তাখালী এলাকার এসিআই কোম্পানীর পিছনে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় হতে জাহিদুলের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জাহিদুল পিরোজপুড় জেলা ও থানার চল্লিশা গ্রামের আমির আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই মনছুর জানায়,গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর উক্ত জাহাজের সারেং রোকন ও তার ভাই মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা চার পাঁচ জন মিলে নৌকা দিয়ে আমার ভাইকে জাহাজ হতে নামিয়ে নিয়ে আসে। ৩দিন নিখোঁজ থাকার পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। সোহেল নামে পুলিশ জাহাজের যে কর্মচারীকে আটক করেছে তার মুখ থেকে আমি সব কিছু জানতে পেরেছি। সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার ভাইয়ের হত্যার সব কিছু জানা যাবে। নিখোজের ঘটনায় গত ২রা ডিসেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়েছিল। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন,লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহালে মৃতদেহের পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত পাওয়া গেছে। তবে আমরা গমবাহী এমভি ও টিএসএস ঈষান-২ জাহাজের সোহেল নামে এক কর্মচারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। হত্যার ঘটনায় সে একমাত্র প্রতক্ষদর্শী তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।