খোকার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম করছে উপজেলার প্রায় ৯৭ শতাংশ জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ

513

হাসিবুল হাসান ও তৌরব হোসেনঃ নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করছে উপজেলার প্রায় ৯৭ শতাংশ জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। তাছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সহ স্বাধীনতার পক্ষের প্রায় ৯৫ শতাংশ নেতাকর্মী মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন বলে জানা যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং গোটা উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন। সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ সহ ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান এবং ১০টি ইউনিয়নের প্রায় সকল মেম্বার তাকে সমর্থন দিয়ে জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরাম গঠন করেন। এছাড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সহ ¯^াধীনতার পক্ষের প্রায় ৯৫ শতাংশ নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটাররা তাকে পুনরায় মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাওয়ায় খুব সহজেই তিনি মহাজোটের মনোনয়ন পান। ইতিমধ্যে তার কর্মী সমর্থকরা  নির্বাচনী মাঠে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে এ আসনে মহাজোটের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার। তিনি ২০০৮ সালে সারাদেশের নৌকার গণজোয়ারে সোনারগাঁ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু  নানা কারণে তিনি দলীয় কোন্দলের কারনে ২০১৪ সালের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তাকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

অপরদিকে এ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান।তবে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা ও বিদ্রোহী (¯^তন্ত্র) প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সারের মধ্যকার ভোট যুদ্ধকে পুঁজি করে ধানের শীষ মার্কা বিজয়ী হবে বলে ধারনা অনেকের। তবে ফলাফল যাই হোক আগামী ৩০ ডিসেম্বর একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা করছেন উপজেলার সাধারন ভোটাররা।