সময়ের চিন্তা ডট কমঃ ১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ০৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ,বিপিএম(বার)পিপিএম (বার) বক্তব্যে বলেন যে, নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চললে এবং সকল নিয়ম কানুনের মধ্যে থাকলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে না। আমাদের চিন্তা ধারা এক ও অভিন্ন। বিজয়ের মাসে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মূল লক্ষ্য। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এবং ০২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত এর বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা, তথা এই বাংলাদেশ। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি অশুভ চক্র নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য পরিকল্পনা করছে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই পরিকল্পনা প্রতিহত করতে হবে। এক্ষেত্রে সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সহযোগীতা চান পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।তিনি তার অধীনস্থ সকল পুলিশ সদস্যকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, এমন কোন আচরণ করা যাবে না যাতে নিরপেক্ষতা নষ্ট হয় এবং নির্বাচনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তিনি আরো বলেন যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেইসবুক সহ অন্যান্য অনলাইনের মাধ্যমে কোন প্রোপাকান্ড বা গুজব ছড়াবেন না। প্রার্থীদেরকে বলেন যে, নিজে খোঁজ নিবেন, দেখবেন, জানবেন এবং নিশ্চিত হবেন, তখন আমাকেসহ ডিসি, রির্টানীং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাবেন। এখানে কোন রাজনীতি চলবে না। কোন প্রোপাকান্ড বা গুজব ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জবাসী আমার অত্যান্ত প্রিয়। নারায়ণগঞ্জবাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেষ্ট সম্মান করে, যা দেখে আমি অভিভূত ও মুগ্ধ। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসেবে আমি ভাগ্যবান। উপস্থিত সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রাজনীতিবিদ এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সকলের নিকট আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে পুনরায় সকলের সার্বিক সহযোগীতা চান পুলিশ সুপার এবং সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তার বক্তব্য শেষ করেন।