মনে করেছিলাম শামীম ওসমান বোমা হামলায় মারা গেছে, আমি বিধবা হয়ে গেছি: লিপি ওসমান

495

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলার পরে আধা ঘন্টার জন্য মনে করেছিলাম শামীম ওসমান ওই হামলায় মারা গেছে, আমি বিধবা হয়ে গেছি। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি শামীম ওসমান বেঁচে আছে। কিন্তু তার শারা শরীর রক্তাক্ত। আমার পা ভিজে গিয়েছিল রক্তে, লাশের সারি পার হয়ে আমাকে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে হয়েছে, সেখানে দেখেছি আমি লাশের মিছিল কাকে বলে।

১১ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের সহধর্মীনি লিপি ওসমান নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ অফিসে ঐ হামলা কেন করা হয়েছিল? কেননা শামীম ওসমান যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল।শামীম ওসমান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। আর এধরণের ভালো কাজ করতে গেলে হুমকি আসবেই। এসব কিছুকেই উপক্ষা করে শামীম ওসমান জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন কেন? অবশ্য আপনারা এই সরকারের সময়ে ভালো কিছু পেয়েছেন। যদি ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু পেতে চান তাহলে বর্তমান সরকারকে আবারও নির্বাচিত করে পুণরায় ক্ষমতায় আনবেন। এটা আপনাদের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।

এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহীলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপিকা শিরিন বেগম, গোদনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারী, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম, মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর সাউদ, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মোল্লা, নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ভুইয়া, গোদনাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কাজী ওয়াহিদ আলম, যুবলীগ নেতা মহসীন ভূইয়া, যুবলীগ নেতা শাহজাহান, যুবলীগ নেতা শহীদুল্লাহ, ছাত্রলীগ নেতা শাহরীয়ার হোসেন বাপ্পীসহ স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ।