খোকার পক্ষে মাঠে নেমেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সহ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ

375

হাসিবুল হাসান ও তৌরব হোসেন,সময়ের চিন্তা ডট কমঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে মাঠে নেমেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ সহ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। ১৪ই ডিসেম্বর শুক্রবার সারাদিন তারা শম্ভুপুরা ইউনিয়নের কাজিরগাঁও, হোসেনপুর, নবীনগর, এলাহীনগর, ইসলামপুর, ফতেপুর, শম্ভুপুরা বাজার ও দরিগাঁও বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। লাঙলের পক্ষে মহাজোট নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ গণসংযোগে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

গণসংযোগকালে লাঙল প্রতীকধারী মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সোনারগাঁ থেকে যারা প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছে তাদেরকে উপজেলাবাসী ভালো করেই চিনে। আমার ভাতিজা কায়সার ৫ বছর সোনারগাঁয়ের এমপি ছিলেন। মান্নান প্রায় ৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং আমিও ৫ বছর এমপির দায়িত্ব পালন করছি। আমি মনে করি, সোনারগাঁবাসী প্রার্থীদের ৫ বছরের আমলনামা যাচাই বাছাই করে যার দ্বারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে তাকেই ভোট দিবে।

এমপি খোকা আরও বলেন, আমি এই ৫ বছরে এক মুহূর্তের জন্যও নিজেকে এমপি মনে করিনি। কারন একজন মুসলমান হিসেবে আমার বিশ্বাস, আল্লাহ আমাকে সোনারগাঁবাসীর খাদেম বানিয়েছেন। আর খেদমতকারী হয় অধিনস্থ এবং যার খেদমত করা হয় তিনি হন অধিক মর্যাদার অধিকারী। কাজেই এমপি হিসেবে ভাব দেখানোর কোন সুযোগই আমার ছিলো না।  তিনি আরও বলেন, আমি রাস্তাঘাটে গরীব-দুঃখী মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের খোঁজ খবর নেওয়ায় কেউ কেউ আমাকে বোকা বলেছে। তাদের দৃষ্টিতে আমি নাকি এমপির মান-মর্যাদা নষ্ট করে ফেলেছি। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে রাস্তার ওই রিক্সাওয়ালা ভাইটি গরীব নয়। বরং গরীব হলো তারাই যারা রিক্সাওয়ালাদের বুকে জড়িয়ে ধরতে ঘৃণা বোধ করে। এরা মনের দিক থেকে খুবই ছোট লোক।

এসময় সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, আমাদের বিচক্ষন নেত্রী শেখ হাসিনা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেই সোনারগাঁয়ে মহাজোটের প্রার্থী দিয়েছেন এবং আমাদেরকে তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা অতীতে কখনো নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করিনি। তাই এই নির্দেশও অমান্য করতে পারব না। আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর লাঙল প্রতীকে ভোট দিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করব ইনশাআল্লাহ। আর যারা এবার নেত্রীর নির্দেশ মানতে পারেনি, তারা অতীতেও নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করেছে। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তারা নৌকা ভেঙ্গে দল থেকে বহিস্কার হয়েছে। কাজেই দলীয় শৃক্সখলা ভেঙ্গে বহিস্কার হওয়াদের কথায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চলতে পারে না। আমরা চলব বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও অ্যাডভোকেট নূরজাহান, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রউফ, সনমান্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী শাহাবুদ্দিন সাবু, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, হাজী মোতালিব, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি আজিজুল ইসলাম মুকুল, শম্ভুপুরা ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি কবির হোসেন, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন তোতা, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, শম্ভুপুরা ইউপির রিয়াজুল হক টিটু মেম্বার, সাবেত আলী মেম্বার, ইকবাল হোসেন মেম্বার, সাজেদ আলী মেম্বার, মহিলা মেম্বার শারমিন আক্তার, নূরতাজ মেম্বার ও শাহনাজ মেম্বার।

আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির জীলানী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান দুলাল, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা মোবারক সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসিফ আনোয়ার বিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল ইসলাম বিজয় সহ মহাজোটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।