রুপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের গত এক দশকের বিদ্যমান কোন্দলের চুড়ান্ত নিস্পত্তি হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের মধ্যস্থতায় দির্ঘদিনের এই বিরোধের সমাপ্তি ঘটে। স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাথে সাংসদের চলমান বিভেদ নিম্পত্তিতে নতুন করে হাওয়া লেগেছে নৌকার পালে। দুইধারায় বিভক্ত আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় উজ্জীবিত হয়েছেন মাঠ পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, গত ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)এর সাথে থানা আওয়ামীলীগের দুড়ত্ব তৈরী হয়। সে থেকে অদ্যাবধি দুইধারায় বিভক্ত ছিল রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ। এরই ফলশ্রæতিতে চলতি নির্বাচনে এমপির বিপক্ষে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন তরুন শিল্পপতি আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ শাজাহান ভূইয়াসহ ৩২ মনোনয়ন প্রত্যাশী। বহু নাটকীয়তার পর পুনরায় গাজীকে মনোনয়ন দেয়া হলেও কোন্দলের নিস্পত্তি না হওয়ায় অনেকটা অনিশ্চয়তায় পরে যায় প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। কোন্দল নিস্পত্তির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারেক সিদ্দিকী ও সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ আহমেদ আকবর সোবহান দুইপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। নিস্পত্তি করেন দির্ঘদিনের কোন্দল। ফলে নতুন করে হাওয়া লাগলো নৌকার পালে। উজ্জীবিত হয়েছে মাঠের নেতাকর্মীরা। নতুন উদ্যোমে চলছে তাদের প্রচারনা। আওয়ামীলীগের ৩২ মনোনয়ন প্রত্যাশী একমঞ্চে থাকায় টানা তৃতীয়বারের মতো গুরুত্বপূর্ন আসনটি আবারো তাদের দখলে থাকতে পারে মনে মনে করছেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আওয়ামীলীগের মতো বিশাল দলে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। সে কারনে জামায়েত-বিএনপিকে সুযাগ দিয়ে উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবেনা। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে