হাসিবুল ও তৌরবঃ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, সোনারগাঁয়ে ততই ভারি হচ্ছে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পাল্লা। ইতিমধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাংশ সহ সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং ৯৮ শতাংশ জনপ্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির পাশাপাশি আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরাও খোকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করায় বিপাকে পড়েছে ধানের শীষের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সিংহ প্রতীকধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার।
ভোটারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে আলোচিত প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার। তবে এই তিন প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্ব›দ্বীতা হবে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা ও ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের মধ্যে। আর এই প্রতিদ্ব›দ্বীতায় লিয়াকত হোসেন খোকার বিজয়ের সম্ভাবনাই বেশি। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার তৃতীয় স্থানে থাকতে পারেন।
কারন, মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে সোনারগাঁ থেকে নির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ, ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রায় সকল ইউপি মেম্বারগণ। এছাড়া জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাংশ সহ প্রায় সকল মুক্তিযোদ্ধারা। সম্প্রতি তাদের ঐক্যবদ্ধ গণসংযোগে গোটা উপজেলায় লিয়াকত হোসেন খোকার লাঙল প্রতীকের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
পক্ষান্তরে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের পাশে দেখা যাচ্ছে না বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর সহ দলের সিনিয়র নেতাদের। এদিকে মহাজোটের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সারের পাশে রয়েছে শুধু যুবলীগের একাংশ। এছাড়া কায়সারের চাচা মোশারফ হোসেন, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু এবং সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা সহ স্বল্প সংখ্যক জনপ্রতিনিধি তার পক্ষে কাজ করছে।
আওয়ামীলীগের হাইকমান্ড বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দিয়েছে, তাই ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে কায়সার নির্বাচন থেকে সড়ে না দাঁড়ালে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হতে পারে। তখন যুবলীগের পদধারীরা তার পক্ষে মাঠে থাকলে দলীয় শৃক্সখলা ভঙ্গের দায়ে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তাই এই নির্বাচনে আব্দুল্লাহ আল কায়সারের তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছে না রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও আওয়ামী ভোটাররা। তবে আজহারুল ইসলাম মান্নান খোকার ফেক্টর হতে পারে মনে করেন সোনারগাঁর সাধারন ভোটাররা।