মোঃ শামছুল আলম তুহিন: আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মঙ্গলবারের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যেহেতু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার এখন আর কোন সুযোগ নেই, সেহেতু তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে পারবেন। আমরা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখব কতোজন প্রত্যাহার করেন। তবে আওয়ামীলীগের ইতিহাসে এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক কম হয়েছে কৌশলী নেতৃত্বের কারনে।
সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের কাচঁপুর এলাকায় দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মান কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন তদন্ত মোতাবেক বিশৃক্সখলাকারীদের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এতে আওয়ামীলীগের কোন দ্বিমত থাকবে না। নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবসমুখর পরিবেশে যারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে তারা যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহবান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক স্থানে আমরা কৌশলগত কারণেই নৌকা লাঙ্গলের প্রার্থী দিয়েছি আমাদের নেত্রী তা গ্রহণ করেছেন। এতে ভোটের মাঠে আমাদের কোন সমস্যা হবার আশঙ্কা নেই। এ ছাড়া সকল স্থানে আমরা আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই মহাজোটের প্রার্থী দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, কাঁচপুর সেতুর কাজ বিজয়ের মাসেই শেষ হয়ে যাবে আর মেঘনা গোমতি সেতুর ফোর লেনের কাজ মে জুন লাগাদ শেষ হয়ে যাবে। কাঁচপুরের সেতু নির্বাচনের আগেই সবার জন্য খুলে দেয়া হবে।
ডক্টর কামাল হোসেন সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে হাত মিলিয়েছে। আর বলছে মুৃক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা লড়ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে অসম্প্রদায়িক চেতনা। আর যে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে তারা হাত মিলিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, ¯^াধীনতা বিরোধী শক্তি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে। বিএনপি-জামায়াতের পুরনো বন্ধুত্ব। নতুন করে ছদ্মবেশী গনতন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকীসহ আরও কয়েকজন আজকে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাখে হাত মিলিয়ে ধানের শীষ মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন। এটা ¯^বিরোধী বক্তব্য ও হাস্যকর। সবচেয়ে দু:খজনক ও দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে ডক্টর কামাল হোসেন যে সুরে কথা বলছেন, যা তার মুখে মানায় না। হি ইজ স্টোপিং সো লো। তিনি এতো নিচে নেমে যাবেন আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করতে গিয়ে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ¯^পক্ষের ধারক শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে তার প্রধান শত্রæ মনে করেন। তার কথাবার্তা আচার আচরন থেকে সেটাই মনে হয়। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এজন্য আমাদের তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। কারন সারাদেশে নৌকা গনজোয়ার বসছে। সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা দেখে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর আগে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মান কাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে খোঁজ খবর নেন। তিনি জানান, সেতুটির নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মহাজোট আবারো ক্ষমতায় এলে আগামী বছরের শুরুতে জানুয়ারী মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত এই সেতুটি উদ্বোধন করবেন। সেতুমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, নারায়ণগঞ্জ সওজের প্রধান প্রকৌশলী আলীউল হোসেনসহ সড়ক ও সেতু বিভাগের উধর্বতন কর্মকর্তারা।