পৌর মেয়রের হাতে নির্যাতিত নসিমন চালক জামালই বাঁচিয়ে দিল মেয়র সাদেককে

371

তৌরব হোসেন, সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ  সোনারগাঁ পৌর মেয়রের হাতে নির্যাতিত নসিমন চালক জামালই বাঁচিয়ে দিলো সাদেকুর রহমানকে। প্রকাশ্যে নসিমন চালক ও তার ভাগিনাকে পিটিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদেকুর রহমানকে আটকের পর শর্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নির্যাতিত জামালের বাবা ও বড় ভাই উপস্থিত হয়ে মেয়রের উপর তাদের কোন অভিযোগ নেই উল্লেখ করে জিম্মা নামায় সই করে ছাড়িয়ে আনেন নির্যাতিত পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে। মেয়র একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ১৭ ডিসেম্বর সোমবার গভীর রাতে সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদি এলাকার বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। এরপর দুপুরে মেয়র সাদেকুর রহমানকে নেয়া হয়েছিল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। সেখানে সাদেকুর রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। পরে নির্যাতিত জামালের বাবা খবিরউদ্দিন ও ভাই কামাল হোসেনকে ডেকে নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। তাদের সাথে কথা বলেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও। সেখানে জামালের বাবা ও ভাই জানান, যা হওয়ার হয়ে গেছে তা নিয়ে এখন দুঃখ করে কি লাভ। মেয়র মুরুব্বী মানুষ, তিনি নানান রোগে অসুস্থ, ওনার উপর আমাদের অভিযোগ নেই। আমরা তার বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেব না। তাদের বক্তব্য শুনার পর মেয়রকে মানবিক দিক দিয়ে বিবেচনা করে একজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের সামনে সোনরগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান তার গাড়ীতে আঁচড় লেগেছে এ অভিযোগে নসিমন চালক জামাল ও ছোট ভাগিনাকে নির্যাতন করে বেদম পিটিয়ে আহত করে। আহত জামাল ও তার ভাগিনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয় এবং পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সোমবার গভীর রাতে পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে তার বাসা থেকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। পরে মেয়রকে বয়সের দিকে চিন্তা করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারনে মুচলেকা নিয়ে একজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।