ওসমান ,চট্রগ্রাম ঃ চট্টগ্রামে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ২ জনসহ ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করছে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নুরুল আলম আশেক।
এর আগে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় অন্তত দুজন গুলিবিদ্ধ এবং অনেকে আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ২ জনের মধ্যে ১ জন শিক্ষার্থী এবং অন্যজন শ্রমিক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকেই বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এবং ট্রাফিক পুলিশবক্স সংলগ্ন রাস্তায় জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কোটা সংস্কার ও আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে নানান স্লোগান দিতে থাকে। ১ ঘণ্টার মধ্যেই হাজার খানেক শিক্ষার্থী জমায়েত হয় সেখানে।
বেলা দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ–যুবলীগের একটি মিছিল বহদ্দারহাট মোড়ের দিকে আসে। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এভাবে চলে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সরে পড়ে। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানেগ্যাসের শেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।