শর্ট নোটিশে নেতাকর্মীদের ডেকে সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের মিটিং

558

প্রায় সময়েই সাংগঠনিক ও নানা ইস্যুতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শামীম ওসমানের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলেও পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের বদলীর আদেশের পরের দিনের বৈঠক ছিল সবার নজরে। তবে এ বৈঠকে শামীম ওসমান পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু না বললেও নেতাকর্মীদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে চাষাঢ়ায় রাইফেলস্ ক্লাবে নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি। সন্ধ্যায় মাগরিবের আযানের সময় বৈঠক শেষ হয়। এ সময় একে একে নেতাকর্মীরা বেরিয়ে আসেন। ওই আলোচনায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ নিষেধ রাখা হয়। বৈঠক উপস্থিত নেতাকর্মীদের সূত্রমতে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে শর্ট নোটিশে নেতাকর্মীদের ডাকেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। পরে তাদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। এ সময় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন শামীম ওসমান। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, এটা নিজেদের মধ্যে বৈঠক। নিজেদের মধ্যেই আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। উক্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশীদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, নাসিক ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, নাসিক ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, নাসিক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।