মো. শফিকুল ইসলাম আরজু: পোষাক ব্যক্তিত্ব ও আদর্শকে ফুটিয়ে তুলে এর পাশাপাশি পবিত্রতার ছাপও বহন করে থাকে। এমনটাই আমাদের সকলের জানা। যুগে যুগে রুচিশীল ও ঐতিহ্যবাহী পোষাক মানুষের মাধ্যে ইতিহাসের ধারক ও বাহক হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, আদর্শের প্রতিক হয়ে। রাজা বাদশা থেকে শুরু করে দরবেশ, অলী আউলিয়া, খ্যাতিমান ব্যক্তি, বংশগত ঐতিহ্য, পেশাগত পোশাকের ব্যবহার আমরা সমাজে সর্বদাই লক্ষ্য করা থাকি। এ সব পোশাকের অপব্যবহারও হয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রে, এমনটাও লক্ষ করা যায়। ব্রিটিশ বংশভূত রাজ পরিবারের পোষাক রাজ পরিবার ছাড়া অন্য কেউ ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যা এখনো ধারাবাহিক ভাবে চলমান। এছাড়া অন্যান্য পোষাকের অপব্যবহারের মাত্রা দিনে দিনে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পোষাকের আদর্শ ও নীতি হারিয়ে গিয়ে শুধু পোষাক রুপে ব্যবহার হচ্ছে চারিদিকে এমটাই লক্ষনীয়। আমরা এখনো অনেক আনুষ্ঠানিকতায় পোষাকের সাজসজ্জা লক্ষ করি যেমন বলতে গেলে বলতে হয় আমাদের সমাজে এখনো বিয়ের পাত্র কে রাজার মুকুট ও শেরোয়ানি পড়িয়ে রাজকীয় এক ভাব আনার পাশাপাশি কন্যাকেও রাজকন্যার ন্যায় সাজানো হয়ে থাকে। এতে আমরা আনন্দিত হই এই ভেবে যে বর এবং কণ্যা তাদের জীবন সংসারটি যেনো রাজা রানীর মত সুখে কাটাতে পারেন। এ লক্ষেই তাদের সাজানো হয়ে থাকে। ফকির আউলীয়া দরবেশ ও র্ধমীয় পোষাক পড়া মানেই নিজের মধ্যে পবিত্রার ধারণ করে চলা। বাঙালির ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্য বাহী পোষাকের মাঝে আমাদের সকলের পরম শ্রদ্ধেয় আর্দশের প্রতিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব স্বাধীন বাংলাদেশ এর রুপকার বিশ্ব দরবারে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হিসেবে সুপরিচিত গরীর দুঃখী মেহনতী মানুষের আস্থাভাজন বাংলা এবং বাঙালির ভালবাসার মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসকল আদর্শ প্রতিকের অপর নাম মুজিব কোট। মুজিব কোট মানেই শেখ মুজিবুর এর প্রতিচ্ছবি যা আমরা একবাক্যে শিকার করে থাকি। এ কোটের সাথে জড়িয়ে আছে শেখ মুজিবুর এর আদর্শ,সততা,প্রতিবাদী ভাষা,মানুষকে ভালবাসা, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেয়া। যারা শেখ মুজিবুর রহমান কে ভালবাসে তাঁর আদর্শ কে বুকে লালন করে সততাকে বহন করতে চায় ঠিক তারাই মুজিব কোট বুকে জড়িয়ে নিয়ে থাকে।কিন্তু কালো বর্ণের কোট হলেই সব কোটও আবার মুজিব কোট নয়। মুজিব কোট এর আকার আকৃতি বৈশিষ্ট্য ও ধরণে ভিন্নতা রয়েছে। মুজিব কোট এর বর্ণ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লেখক রমজান বিন মোজাম্মেল বলেন-
মুজিব কোট হচ্ছে পরুষদের জন্য তৈরী এক ধরণের কালো কোট, এটি একটি হাতাকাটা, উঁচুগলা বিশিষ্ঠ ও নি¤œ অংশে দুটি পকেট ও ছয় বোতাম সমেত শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ব্যবহৃত গর্বিত আদর্শের একটি পোষাক।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ পোশাক ছিল সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা আর ছয় বোতামের কালো রঙের হাতাকাট কোট। যে কোটটি পরবর্তী সময়ে ‘মুজিব কোটথ নামে বেশি পরিচিতি পায়। শেখ মুজিব এ কোটটি কবে থেকে পরতে শুরু করেছিলেন, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি; তবে বলা হয় ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি এ কোটটি পরতে শুরু করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী কামাল হোসেন এর ভাষ্যমতে আমরা জানি, ১৯৬৮ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু এ কোটটি পরতেন। মওলানা ভাসানী এবং শামসুল হক যখন আওয়ামী মুসলীম লীগ করলেন, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, তখন থেকেই বঙ্গবন্ধুকে এ কোট পরতে বেশি দেখা যায়। তবে অনেক বিশ্লেষকের মতে, এ কোটটির প্রচলন ‘নেহেরু কোটথ থেকে। তখনও শেখ মুজিবের গায়ের কোটটি মুজিব কোট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেনি। কালো হাতাকাটা এই বিখ্যাত কোটটি তখনও লাভ করেনি কোন নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক ছাত্র তার সহপাঠী তাজউদ্দিনের সাথে দেখা করতে গিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে । শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেক কাছ থেকে দেখলেন তিনি, কথাও বললেন দীর্ঘক্ষণ। কথা শেষে ওঠে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু যখন তার কালো কোটটি গায়ে জড়াচ্ছিলেন তখন ঐ ছাত্রটি লক্ষ্য করলেন কোটে ৬টি বোতাম। যা এ ধরনের অন্য কোটের বোতামের চেয়ে কম। তিনি বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কোটের বোতাম ৬টি কেন? বঙ্গবন্ধু তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, এমন প্রশ্ন এর আগে আমাকে আর কেউ করেনি। তুই প্রথম। এই ৬টি বোতাম আমার ঘোষিত ৬ দফার প্রতীক। আর এ কারণেই মুজিব কোটের প্রতিটিতে বোতামের সংখ্যা থাকে ছয়টি। এ পোশাক পরেই বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, সর্বোপরি বাঙালির আইকন হিসাবে বিশ্বের দরবারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই সাথে সকলের নজর কেটেছেন মুজিব কেটি।
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু কর্র্তৃক উত্থাপিত ঐতিহাকি ৬ দফা দাবির প্রেক্ষিতে আন্দোলন শুরু হয়। ছয়দফা সমূহ হলো-
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
৩. মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা
৪. রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা
৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা
৬ দফার মূল বক্তব্য ছিল প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। পূর্ববাংলা ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি পৃথক ও সহজ বিনিময়যোগ্য মুদ্রা থাকবে। সরকারের কর, শুল্ক ধার্য ও আদায় করার দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকাসহ দুই অঞ্চলের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার আলাদা হিসাব থাকবে এবং পূর্ব বাংলার প্রতিরক্ষা ঝুঁকি কমানোর জন্য এখানে আধা-সামরিক বাহিনী গঠন ও নৌবাহিনীর সদর দফতর স্থাপন।
বাংলার সর্বস্তরের জনগণের মাঝে ৬ দফা ব্যাপক সমর্থন পায়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ১৯৬৬ সালে ৮ মে নারায়ণগঞ্জ পাটকল শ্রমিকদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী। তাকে এ ধরনের হয়রানিতে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
৭ জুন আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য নেতার মুক্তির দাবিতে এবং পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন তথা বাঙালি জাতির মুক্তির ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্ণ দিবস হরতাল আহবান করেছিল। অভূতপূর্বভাবে সে হরতাল সাড়া দেয় ছাত্র-শ্রমিক-জনতাসহ সারা দেশের মানুষ। হরতাল বানচাল করতে পুলিশ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে মুক্তিকামী মানুষের মিছিলে গুলি চালায়। এতে ঢাকার তেজগাঁওয়ে শ্রমিক নেতা মনু মিয়া, ওয়াজিউল্লাহসহ ১১ জন এবং নারায়ণগঞ্জে সফিক ও শামসুল হক নিহত হন। আহত হন অনেকেই।
সরকারের বিরূপ প্রচারণা ও অত্যাচারে ৬ দফা আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ৬ দফা যখন জনগণের ব্যাপক সমর্থন পায় ঠিক সেই সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবকে অভিযুক্ত করে এক নম্বর আসামি করা হয়। স্বৈরাচারী শাসকেরা ভেবেছিল মামলা দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন নিঃশেষ করে দেবেন। কিন্তু হলো তার বিপরীত। আগরতলা মামলা দায়েরের পর তিনি পরিণত হন মহানায়কে।
একটা সময় দলের ত্যাগী প্রবীণ ও পোড় খাওয়া কিংবা বংশীয় আওয়ামী লীগের লোকেরা মুজিবকোট পরলেও অপকর্ম অপব্যবহার করেননি। এখন অপব্যবহার বেড়ে চলেছে।
জানা গেছে, দল টানা প্রায় ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে অনেক সুবিধাবাদী মুজিবকোটের অপব্যবহার করছে। অতিস¤প্রতি মুজিবকোট পরা আওয়ামী লীগ নামধারী সাহেদ করিম ও লোপা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা খেয়েছেন। নব্য আওয়ামী লীগাররা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে গিয়ে মুজিবকোট পরছেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর মাঠ পর্যায় কিংবা দলের ত্যাগী নিবেদিত নেতার মুজিবকোট পরতেন ‘বঙ্গবন্ধুর ব্যবহার্যথ কোটকে আদর্শের প্রতীক হিসেবে। জাতির পিতার হাতে গড়া দলের নেতা-কর্মীরা এখনো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাননি এটা বোঝানোর জন্য। এখন কিছু টাউট-বাটপাড় ও চোর তাদের অপকর্ম জায়েজ করতে এ কোট পরছে।
সূত্রমতে, প্রতারক চক্র বিভিন্ন ভবনে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, বদলি তদবির করতে মুজিবকোট গায়ে লাগিয়ে মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন অধিদফতরে যায়। মুজিবকোট গায়ে থাকায় ‘ব্যক্তিটি আওয়ামী লীগথ করে এটা সহজেই অনুমান করা যায়। এসব প্রতারক নিজেদের কখনো ওয়ান-ইলেভেনের ভুক্তভোগী ত্যাগী ও পরিশ্রমী ছাত্রনেতা বলেও পরিচয় দেয়। এ প্রতারক চক্র কখনো উচ্চপর্যায়ের লোক হিসেবেও নিজেদের পরিচয় দেয়। আবার মুজিবকোট গায়ে থাকার সুবাদে কিছু মন্ত্রী, এমপি কিংবা ক্ষমতাধর ব্যক্তির সঙ্গে ছবিও তুলে থাকে এই প্রতারক শ্রেণি। তাদের মূল কাজই নানা ধরনের প্রতারণা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উচ্চ পদস্থ দলীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃনমুলের নেতা কর্মী সহ যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন তাঁরা অনেকেই মুজিব কোট জড়িয়ে চলাচল করে থাকেন। এতে মুজিব কোট তার প্রান ফিরে পায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই কোট কে যখন কোন স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে জড়িত ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্য জড়িয়ে নেই ঠিক তখনই মুজিব কোট আতœ চিৎকার দিয়ে উঠে। বঙ্গবন্ধুকে মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয় করে লোক দেখার জন্য জড়িয়ে নেয়, ঠিক তখনই মুজিব কোট আত্ম চিৎকার দিয়ে উঠে। কোন রাজাকার আলবদর জড়িয়ে নেয়, ঠিক তখনই মুজিব কোট আত্ম চিৎকার দিয়ে উঠে। দেশ বিরোধী কোন নরপিশাচ যখন জড়িয়ে নেয়, ঠিক তখনই মুজিব কোট আত্ম চিৎকার দিয়ে উঠে। অন্যায় অত্যাচারি জুলুমবাজ কালোবাজারি ভূমি দস্যু জড়িয়ে নিয়ে, অন্যায় কাজ গুলো করে, ঠিক তখনই যেনো মুজিব কোট আত্ম চিৎকার দিয়ে উঠে। আসলে এরা কি মুজিব কোট টি শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শ ধারন করার জন্য পড়ছে নাকি এ কোট পড়ে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক দেখিয়ে নিজের প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় কাজগুলো করে মুজিব কোটকে কুলোশিত করছে এ ধরণের প্রশ্ন এখন হাজার জনতার মনে। মুজিব সৈনিকরা আজ চারদিকে মুজিব কোট এর বোবা আত্ম চিৎকার এখন চারদিকে শুনতে পায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা শেখ মুজিবুর রহমানকে যেমন মনে প্রাণে ভালোবাসে ঠিক তেমনি তারা এ মুজিব কোটকেও ভালবাসে ও শ্রদ্ধা করে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আকুতি আমরা আর মুজিব কোট এর আহাজারি আত্ম চিৎকার শুনতে চাই না। শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে আমরা যেমন নিজের জীবন বাজি রেখে হানাদার মুক্ত করতে দেশের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ে মৃত ভয়কে উপেক্ষা করে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছিলাম ঠিক তেমনি আজ আমাদের মুজিব কোট এর যতাযত মর্যদা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। যে বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বুকে ধারণ করতে পারবে না সে মুজিব কোট জড়িয়ে নিতে পারবে না। যে মুজিব কোট এর অপব্যবহার করবে তার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়িয়ে এ পোষাকের মর্যাদাকে রক্ষা করতে হবে।
এমটাও জানা গেছে যে, মুজিব কোটের অপব্যবহার রোধে আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরতœ শেখ হাসিনা বরাবর পত্র লিখেছেন। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রিযোগে প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আলাদা দুথটি পত্র প্রেরণ করেছেন। শিক্ষক শ্যামল কুমার সরকার, তিনি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান।
আজ গর্বভরে দেশসহ বিশ্বে উদযাপন করছি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী। তাই এ উপলক্ষে ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রেখে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের জোরদাবি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীকি এই মুজিবকোট পরিধানের বিষয়ে সরকারি ও দলীয়ভাবে নীতিমাল করে এর বাস্তবায়ন করা হোক। বঙ্গবন্ধু মুজিবকোটটি আমাদের মাঝে ফিরে পাক আদর্শের এক প্রতিক হয়ে।