মোঃ মোক্তার হোসাইন বিশেষ প্রতিনিধি :ডেক্স রিপোর্ট
সকালে সাত জেলা থাকলেও অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলের কাছে এগিয়ে আসায় মহাবিপদ সংকেতের আওতায় আনা হয়েছে দেশের ১২ জেলাকে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উঁচু জলোচ্ছ্বাসের হয়ে এসব জেলার চর ও নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়ে যেতে পারে আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও অতি ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধস হতে পারে।
মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকা ১২ জেলার মধ্যে রয়েছে- কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা।
আবহাওয়া অফিস থেকে থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ভোলা – এই পাঁচ জেলাকে মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছিল।
শনিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার জেলা এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আর বাকি ১১ জেলার কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বকি ১০ জেলায় এবং কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশের প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ঝড়, বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। রোববার ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে মোখা।
শনিবার দুপুর ১২টার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা ঘূর্ণন গতি রয়েছে ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
ভোরে এই ঘূর্ণন গতি ছিল ১৬০ কিলোমিটার, যা ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
বৈশ্বিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া আ্যকু ওয়েদার বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে বাতাসের একটানা ঘূর্ণন গতি রয়েছে ২১৫ কিলোমিটার। দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ২৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
আর শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘন্টায় ১৯ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।