আওয়ামী লীগের সভায় ব্যারিস্টার সুমনের উপস্থিতি নিয়ে হট্টগোল

188

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় ও বর্ধিত সভায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন)কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর উপস্থিতি নিয়ে হট্টগোল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা।

২১ জানুয়ারি রোববার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা–কর্মীরা সভাপতির কাছে প্রশ্ন রাখেন, সৈয়দ সায়েদুল হক আওয়ামী লীগের কেউ নন। তাঁকে দল এখনো গ্রহণ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে দলের বর্ধিত সভায় তাঁকে কেন ডাকা হলো?
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বর্ধিত সভা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে প্রধান অতিথি করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেন ওরফে জিতুর সভাপতিত্বে বিকেল চারটায় সভা শুরু হয়। সভা একপর্যায়ে সংসদ সদস্যের বক্তব্য দেওয়ার আগমুহূর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুক্তাদির চৌধুরী দাঁড়িয়ে সভাপতির উদ্দেশে বলেন, আজকের বর্ধিত সভায় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের যে মতবিনিময় সভার আহ্বান করা হয়েছে, সেটি দলীয় কোনো সভার সিদ্ধান্ত ছিল কি না? ব্যারিস্টার সুমনকে দল (আওয়ামী লীগ) গ্রহণ করেছে কি না? না হয়ে থাকলে তাঁর সঙ্গে মতবিনিময় কেন?’ সাংস্কৃতিক সম্পাদকের ঐ প্রশ্নের পরপরই নেতা–কর্মীরা হট্টগোল শুরু করে।


সূত্র জানায়, হট্টগোল শুরুর পর সভাপতি আকবর হোসেন হাতে মাইক নিয়ে নেতা–কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে আজকের সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া সংসদ সদস্য নিজে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তখনো নেতা–কর্মীরা হট্টগোল থামাননি। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য নিজেই মাইক নিয়ে নেতা–কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই আমার অভিভাবক। এখানে অনেক নেতা আছেন, যাঁদের রাজনীতির অভিজ্ঞতা আমার বয়সের চেয়ে বেশি। আমি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হলেও আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। নেত্রীর কথা অনুযায়ী প্রার্থী হয়েছি। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আপনারদের সঙ্গে আজ মতবিনিময় করতে এসেছি। তাঁর বক্তব্যের সময় নেতা–কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে থাকেন। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সভায় চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদির লস্কর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক সরকার, উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি আবেদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
সভার বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি