মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণির অবৈধ দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিল স্থানীয় প্রশাসন

30

সময়েরচিন্তা রিপোর্টঃ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবের সাথে রাজনীতি করে আসছেন সোনারগাঁ মুক্তিতিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি। 

সোনারগাঁ উপজেলার এক সময় বিএনপি পরবর্তিতে আওয়ামীলীগের নেতারা যেন তার ভক্ত। তাকে ছাড়া সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন অচল। যে কোন নেতার ব্যক্তিগত ও দলীয় কর্মকান্ডে তাকেই চাই আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একেক পর এক অনিয়মকে নিয়ম করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওসমান গনি’র বিরুদ্ধে। এবার আদমপুর বাজারে অবৈধ দোকান নির্মাণ করতে গিয়ে প্রথমবারের মতো হোচট খান ওসমান গণি। প্রশাসনের লোকজন সেই অবৈধ দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ যেন ওসমান শিবিরে হঠাত ধাক্কা। অনেকে প্রসাশনের এ কাজের জন্য প্রসাশনকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি অনেকটাই অবাক হয়েছে। যে লোকটার এ ক্ষমতা তিনি যা ইচ্ছা তাই করেন আর সেই লোকের বানানো অবৈধ দোকান গুড়িয়ে দিলো প্রশাসন এ যেন আকাশ কুসম ভাবনা।

জানাগেছে, গত কয়েকদিন আগে সোনারগাঁও পৌরসভার পানাম নগর এলাকার আদমপুর বাজারে জনগনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাজারের পুরোনো ব্যবসায়ীদের তুলে দিয়ে নতুন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে নতুন দোকান নির্মান শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি। এসময় স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয়। সবার বাঁধা উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ব্যানার টানিয়ে দোকানের কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সোমবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্বারক লিপি প্রদান করেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সোনারগাঁও পৌর প্রশাসককে স্বারকলিপির অনুলিপি দেওয়া দেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

এলাকাবাসীর দায়ের করা স্বারকলিপি থেকে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌর এলাকার আদমপুর বাজারে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে প্রতিদিন সকালে শাক সবজি, ফল মূল ও মাছ পাইকারী ও খুচরা বাজার বসে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এ বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করে থাকেন। মাছ বাজারে প্রবেশ পথে সরকারী জমি দখল করে রাতের আধারে মুক্তিযোদ্ধা নাম ভাঙিয়ে দোকান নির্মাণ করেন। ফলে বাজারে প্রবেশ পথ সরু হয়ে যায়। ফলে পুরুষ ও মহিলা চলাচলে এক ব্যক্তি ও অন্য ব্যক্তির শরীরে শরীরে ধাক্কাধাক্কি হয়। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। এর আগেও মুক্তিযোদ্ধা ওসমাণ গণি একই বাজারে সরকারী জমি দখল করে তিনটি দোকান নির্মাণ করেছেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে তার এমন কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করেননি। ফলে তিনি দিন দিন বিভিন্ন স্থানে দখল বানিজ্য করে যাচ্ছেন।

আদমপুর বাজারের আলু পেয়াজ বিক্রেতা আলাল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দখল হওয়া স্থানে ব্যবসা করে আসছি। রাতের আধারে মুক্তিযোদ্ধা ওসমাণ গণি হঠ্যাৎ করে একটি সাইনবোর্ড দিয়ে দোকান দখল করেন। সকালে এসে তার দু’চালা একটি ঘর দেখতে পাই।

এদিকে গত বুধবার রাতে সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে স্মার্ট সোনারগাঁ বির্নিমানের লক্ষে এমপি কায়সার হাসনাতের মত বিনিময় সভায় সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. ইব্রাহিম আদমপুর বাজারে অবৈধ ভাবে নির্মান করা দোকান উচ্ছেদের বিষয়ে মত বিনিময় সভায় আগত প্রসাশনের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।

সরকারী খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণ, সরকারী জমি খালি পেলেই সেখানে মুক্তিযোদ্ধার সাইডবোর্ড দিয়ে করে জায়গা দখল করে।