পাগলার চিতাশালে আজিজ-খবির-মোহনের জুয়া-মাদকের আসর

467

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফতুল্লার পাগলা চিতাশাল এলাকায় বিশালাকারের জুয়ার আসর চলছেই। আজিজ বাবুর্চি, খবির ও মোহনের নেতৃত্বে আল্লাহর দান কমিউনিটি সেন্টারে প্রতি রাতেই বসে রমরমা এই আসর, যা চলে ভোর পর্যন্ত। এতে করে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনসাধারণ৷

একাধিক এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আজিজ বাবুর্চি এই এলাকার কুখ্যাত জুয়াড়ি৷ বাবুর্চি পেশা ও কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘ বছর ধরেই জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে এই আজিজ৷ তার সাথে যোগ দিয়ে আরো দুই কুখ্যাত জুয়াড়ি খবির ও মোহন। এরাই মূলত কয়েক বছর ধরে বিধ্বংসী এই আসর চালিয়ে যাচ্ছে৷ মোহন ও খবিরের মূলত অন্যকোনো পেশা নেই৷ জুয়ার আসর বসানোর অবৈধ আয়ের টাকায়ই চলে তাদের সংসার। তারা দু’জন একসময় বালু টানার লেবার থাকলেও বর্তমানে জুয়ার আসর বসিয়ে দিব্যি আছে৷

সরেজমিনে দেখা যায়, চিতাশাল ব্রিজের সাথেই আল্লাহর দান কমিউনিটি সেন্টার অবস্থিত। ঠিক এর পাশেই তথাকথিত একটি ক্লাব চালাচ্ছে জুয়াড়ি মোহন। কমিউনিটি সেন্টারটিতে প্রবেশের গেইট রয়েছে তিনটি৷ এর মধ্যে সড়কের সাথে থাকা প্রধান গেইটটি প্রায়ই খোলা পাওয়া গেলেও সরু গলিতে থাকা গোপন দুই গেইট বন্ধ থাকে সবসময়  দিনের বেলা চিহ্নিত জুয়াড়ি ও মাদকসেবিদের নিয়ে ক্লাবে আড্ডা দেয় মোহন৷ সন্ধ্যার পরেই বাড়ে জুয়াড়িদের আনাগোনা৷ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরসহ দূরদূরান্ত থেকে জুয়াড়িরা আসতে থাকে। কেউবা আসেন দামি গাড়ি হাঁকিয়ে। রাত ১২টা নাগাদ শুরু হয় জুয়ার আসর, চলে ভোর অবধি৷ সেইসাথে চলে মাদক সেবন। এসময় পাহারায় থাকে কিছু মাদকসেবি, যারা এর বিনিময়ে প্রতিদিন পায় হাজিরার টাকা। প্রশাসনের কেউ বা সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেলেই গোপন গেইট দিয়ে পালিয়ে যায় জুয়াড়িরা।

আসরে বসা চিহ্নিত জুয়াড়ি ও মাদকসেবিদের মধ্যে আজিজ বাবুর্চি, খবির, মোহন, মালেক, ভোটকা রতন, নূর ইসলাম, খোকা, হাবু মিয়া, খোকনের নাম উল্লেখযোগ্য৷ গত বছর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পরেও এই আসর বন্ধ ছিল কিছুদিন, কিন্তু কিছুদিন ধরে আবারও একপ্রকার ঘোষণা দিয়েই চালু হয়েছে আসর৷

এলাকাবাসী জানান, জুয়ার এই আসরের ফলে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে৷ জুয়ার টাকা জোগাতে জুয়াড়িরা ছিনতাই, চুরি করছে, আবার অনেক ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী জুয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। অবিলম্বে এই জুয়ার আসর বন্ধে প্রশাসন ও সচেতন মহলের হস্তক্ষেপ জরুরি৷

জুয়ার আসরের কথা স্বীকার করে আজিজ বাবুর্চি গণমাধ্যমকে বলেন, সব জায়গাতেই তো এসব চলে। এসব কোনো বিষয় না৷’