ভাগিনার জমি মামার আত্নস্বাদের চেষ্ঠা

514

নারায়নগঞ্জ শহরের দেওভোগে ভাগিনা মোমেন’র জমি আত্নস্বাদের চেষ্ঠা করছে আপন মামা আতাউর রহমান রিনা। মোমেন ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগের মৃত আমজাদ হোসেন ছেলে ও মরহুম জিয়া উদ্দিনের নাতী। মামা আতাউর রহমান রিনা সন্ত্রাসী ও পেশি শক্তি খাটিয়ে ভাগিনা মোমেনকে এলাকা ছাড়া করে তার জমি আত্নস্বাদ করার চেষ্ঠা করছে বলে জানায় ভোক্তভোগী মোমেন।

মার্চ ২০২৪ সালের রমজান মাসে ভুমি সন্ত্রাসী আতাউর রহমান রিনা ভক্তভোগি মোমেনের জমির উপর লাগানো সাইনবোর্ড তোলে ফেলে দিয়ে তার নামের সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেয় এবং মোমেনকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এবিষয়ে মোমেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করে কোন সহযোগিতা পায়নি বলে জানায় ভুক্তভোগি মোমেন।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার এস আই আজিজুল হককে কল করলে তিনি প্রতিবেদককে আমতা আমতা করে বলে,” আমি আতাউর রহমানকে জিজ্ঞাসা করেছি জমির মালিকানা কাগজের জন্য, আতাউর কোন কাগজ দেখাতে পারে নাই, মোমেনের সানবোর্ডের সামনে আতাউরের সাইনবোর্ড লাগানো আছে আমি দেখেছি।” আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন প্রশ্নে এস আই বলে,” আপনি তো জানেন যে আমাদের কাজে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। আমি কি করব? মোমেনকে বকেছি ১৪৪ ধারা মামলা করতে।”

এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুর এ আযমকে কল করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন,” আমি ঘটনা জানিনা, আপনি যখন জানালেন আমি দেখছি কি করা যায়।”

এ ব্যাপারে আতাউর রহমান রিনা বলে,”আমি ওয়ারিশের জমি পাব তাই সানবোর্ড লাগিয়েছি, তারা পঞ্চায়েত প্রধান্দের কথা মানে না, আমার কাছে সব কাগজ আছে, আমি আমার জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।আমার মাকে আমরা ৪ ভাই ৫ বোনেরা হেবা করে দিয়েছি হাউজ বিল্ডিং করার জন্য। মার পাগল ভাইয়ের জমি আরেক জঙ্কে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে দলিল করে নিয়েছে। আমার মা সাড়ে তিন শতক বিক্রি করেছে, বাকী জমি আমরা ভাইবোনেরা ওয়ারিশ হিসাবে পাব। আপনি এসে দেখেন, আপনার কথা আমি মানব, আমি যদি জমি না পাই তাহলে আমি কোন্দিন জমিতে যাব না। আমার এলাকার সাবেক কাউন্সিলর সজল ও ব্যবসায়ী কবির সব জানে। আপনি তাদের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন।আমি আপনাকে সব কাগজ দিয়ে যাব।”

এব্যাপারে মোহাম্মদ রানা ও নুসরাত জাহান মানিককে কল করে পাওয়া যায়নি। চলবে………।